ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন | Emistat Oral Solution | Healthcare Pharmaceuticals Ltd.

Emistat Oral Solution - ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন

Table of Contents

Emistat Oral Solution – ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন
  • জেনেরিক নাম: Ondansetron
  • প্রস্তুতকারক কোম্পানি: Healthcare Pharmaceuticals Ltd.

 

ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন এর দাম

  • প্রতি পিস: ৫০.০০ টাকা (৫০ এম.এল বোতল)

 

ইমিস্টেট ওরাল সলিউশন (Emistat Oral Solution) হল একটি ওষুধ যা শিশুদের বমি বমি ভাব এবং বমি দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি, বিকিরণ, এবং পেট ও অন্ত্রের অসুস্থতার কারণে বমি বমি ভাব এবং বমির চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ব্যথার ঔষধ সেবনের ফলে সৃষ্ট বমি ভাব থেকে রক্ষা পেতেও ইমিস্টেট ওরাল সলিউশন কার্যকরী। কেমোথেরাপি দ্বারা উত্পাদিত বমি কমাতে অস্ত্রোপচারের অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে আপনি আপনার শিশুকে ইমিস্টেট ওরাল সলিউশন সেবন করাতে পারেন। 

যে কোন অস্ত্রোপচারের ১ ঘন্টা পূর্বে অথবা শিশু খাবার গ্রহণ করার ৩০  মিনিট পূর্বে ইমিস্টেট ওরাল সলিউশন খাওয়াতে হবে। বয়স ভেদে শিশুদের ইমিস্টেট ৪ এম.জি (ফ্লাশ ট্যাবলেট), ৮ এম.জি (ট্যাবলেট), ৮ এম.জি/ ৪ এম.এল (ইঞ্জেকশন), ৮ এম.জি (ফ্লাশ ট্যাবলেট) খাওয়ানো যেতে পারে। সাধারণত ৬ মাস থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের ৮ এম.জি (ট্যাবলেট) দিনে তিনবার প্রদান করা যেতে পারে। ৬ মাস থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের রেডিওথেরাপির অন্তত ১-২ ঘন্টা আগে ৮ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট সেবন করাতে হবে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত শিশুদের কোনোভাবেই ইমিস্টেট ওরাল সলিউশন সেবন করানো যাবে না।

 

ইমিস্টেট ওয়াল সল্যুশন এর বিকল্প

ক্রম:বিকল্পকোম্পানিদাম
 ZofraEskayef Pharmaceuticals Ltd.৪০.৫০ টাকা
EmistonThe Ibn Sina Pharmaceutical Ind. Ltd.৪৫.০০ টাকা
Ondason Oral LiquidDrug International Ltd.৪০.৭০ টাকা
OsetronACI Limited২৭.১৮ টাকা
PerisetThe ACME Laboratories Ltd.৪০.৫০ টাকা

নির্দেশনা

নিচে বর্ণিত পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শে  ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন নির্দেশিত হয়: 

ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন একটি সেরোটোনিন সাবটাইপ 3 (5-HT3) রিসেপ্টর প্রতিপক্ষ ওরাল সলিউশন। ইমেটোজেনিক ক্যান্সার কেমোথেরাপির প্রাথমিক পর্যায়ের সৃষ্ট বমি ভাব এবং বমি প্রতিরোধ করতে ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন কার্যকরী। অপারেশন পরবর্তী বমি বমি ভাব এবং বমি প্রতিরোধ ও রেডিওথেরাপি পরবর্তী বমি ভাব এড়াতে ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পারে।

এর ব্যবহার:

  • প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে: ১০ মিলি (৮ মিলিগ্রাম) অনডানসেট্রন ওরাল সলিউশন প্রতিদিন ৩ বার। রেডিও থেরাপির অন্তত ১ ঘন্টা আগে ১০ মিলি (৮-মিলিগ্রাম) অনডানসেট্রন গ্রহণ করতে হবে।
  • ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশু: রেডিওথেরাপি শেষ হওয়ার পর ১০ মিলি ১-২ দিনের জন্য প্রথম ডোজ শেষ হওয়ার প্রতি ৮ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করতে হবে।

 

রেডিও থেরাপি বা কেমোথেরাপির পর 

ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন প্রয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোনভাবেই নিজ থেকে ওষুধের ডোজ বাছাই করা যাবে না।

 

ফার্মাকোলজি

Ondansetron একটি শক্তিশালী, অত্যন্ত নির্বাচনী 5HT3 রিসেপ্টর-বিরোধী ঔষধ হিসেবে পরিচিত। কেমোথেরাপিউটিক এজেন্ট এবং রেডিওথেরাপি 5HT3 রিসেপ্টরগুলির মাধ্যমে ভ্যাগাল অ্যাফারেন্টস সক্রিয় করতে ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন সাহায্য করে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অন্ত্রে 5HT নিঃসরণ ঘটাতে পারে ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন। এই ঔষধটি একটি কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইমেসিসকে উন্নত করতে পারে। সাইটোটক্সিক কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি দ্বারা বমি ভাব বা বমি প্রতিরোধে অনডানসেট্রনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া পেরিফেরাল এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র উভয়ের মধ্যে অবস্থিত নিউরনে 5HT3 রিসেপ্টরগুলির অসামঞ্জস্যতা প্রতিরোধে ইমিস্টেট ঔষধটি কাজ করে থাকে। বিভিন্ন ছোট বড় অস্ত্রোপচারের পর সাইটোটক্সিক বা সৃষ্ট বমি ভাব বা বমি এড়াতে ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন গ্রহণ করা যেতে পারে।

 

Emistat – ইমিস্টেট এর মাত্রা ও সেবনবিধি  

Emistat – ইমিস্টেট (Ondansetron) এর মাত্রা ও সেবন বিধি:

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য:

  • সাধারণ প্রারম্ভিক মাত্রা: কেমোথেরাপি থেকে সৃষ্ট বমি ভাব এড়াতে (৬ মাস থেকে ১৮ বছর বয়সী) ৮ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট তিনটি ০.১৫ মিলিগ্রাম/কেজি ডোজ, প্রতি ডোজ সর্বোচ্চ ১৬ মিলিগ্রাম পর্যন্ত। (ইনজেকশন) তিনটি ০.১৫ মিলিগ্রাম/কেজি ডোজ, সর্বোচ্চ ১৬ মিলিগ্রাম প্রতি ডোজ পর্যন্ত এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে শিরায় প্রবেশ করাতে হবে।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে ৮ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট দুইবার অর্থাৎ ১৬ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট দেওয়া যেতে পারে। ৪ মিলিগ্রাম মিলিগ্রাম অরোডিসপারসিবল ট্যাবলেট, ১৬ মিলিগ্রাম ইনজেকশন প্রদান করা যেতে পারে।
  • মাত্রাবৃদ্ধি: রেডিও থেরাপির ফলে সৃষ্ট ও বমি ভাব কমাতে উপরিউক্ত ডোজ কাজ না করলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ বাড়ানো যেতে পারে।



শিশু ও কিশোরদের জন্য (১০ বছর বয়স ও তার বেশি):

  • সাধারণ প্রারম্ভিক মাত্রা: শিশুর ওজন ৪০ কেজি থাকলে ০.১ মিগ্রা/কেজি ইনজেকশন প্রদান করা যাবে। আর শিশুর ওজন ৪০ কেজি এর কম থাকলে ৪ মিগ্রা ইনজেকশন প্রদান করা যাবে। ১২ বছর বয়সী বা তার বেশি বয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রে ইমেটোজেনিক ক্যান্সার কেমোথেরাপি শুরু হওয়ার অন্তত এক ঘন্টা পূর্বে ৩০ মিলি (২৪ মিলিগ্রাম) অনডানসেট্রন ওরাল সলিউশন প্রদান করা যাবে। 

 

মাঝারি ইমেটোজেনিক ক্যান্সার কেমোথেরাপি এর অন্তত এক ঘন্টা পূর্বে ১০ মিলি (৮ মিলিগ্রাম) অনডানসেট্রন ওরাল সলিউশন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। প্রথম ডোজের ৮ ঘন্টা পরে আরও ১০ মিলি ডোজ দেওয়া উচিত। কেমোথেরাপি শেষ হওয়ার পর ১-২ দিনের জন্য একটি ১০ মিলি ডোজ দিনে দুবার (প্রতি ১২ ঘন্টা) দেওয়া উচিত।

  • মাত্রাবৃদ্ধি: রেডিও থেরাপির ফলে সৃষ্ট ও বমি ভাব কমাতে উপরিউক্ত ডোজ কাজ না করলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ বাড়ানো যেতে পারে।



সেবন বিধি

ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন মৌখিক দ্রবণীয় একটি ঔষধ। নিচে সেবন বিধি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

  • পাউচটি খুব সাবধানে ছিঁড়তে হবে,
  • সেবনের পূর্বে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে,
  • পরিমাণ মতো ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন মেপে নিয়ে গিলে খেতে হবে,
  • খাওয়ার সময় ওষুধের সাথে কোন রকম পানি বা তরল পদার্থ যোগ করা যাবে না,
  • ঔষধ সেবনের পর ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলুন।

 

ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন সেবনের সময় কিছু বিষয় মনে রাখবেন:

  • ওষুধটি সেবনকালে অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য এবং মাথা ব্যথা হলে ঔষধটি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
  • ঔষধটি সেবন কালে ডায়রিয়ার মত সমস্যা তৈরি হতে পারে।‌ এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • যাদের ইতোমধ্যে লিভারের এনজাইমের সমস্যা রয়েছে তারা ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন গ্রহন করতে পারবেন না।
  • যারা হাইপোক্যালেমিয়া এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন গ্রহণ করবেন না।

** নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন ঔষধ গ্রহণ করবেন না। যে কোন ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন এর ওষুধের মিথস্ক্রিয়া

ইমিস্টেট লিভারের সাইটোক্রোম P-450 ড্রাগ-মেটাবোলাইজিং এনজাইম সিস্টেমকে প্ররোচিত করে না বা এর কোন কাজে বাধা দেয় না। ইমিস্টেট হেপাটিক সাইটোক্রোম P-450 ড্রাগ-মেটাবোলাইজিং এনজাইম দ্বারা বিপাকিত হয়ে থাকে। ইমিস্টেট ৫০ মিলি লিভারের সাইটোক্রোম P-450 ড্রাগ-মেটাবোলাইজিং এনজাইম সিস্টেমকে প্রভাবিত করে না। তাই এই এনজাইমের ইনডিউসার বা ইনহিবিটর ক্লিয়ারেন্স পরিবর্তন করতে পারে। ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন এর ডোজ চলাকালীন Ondansetron-এর কোনো ডোজ রোগীকে যুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয় না।

 

ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন একটি নিরাপদ ঔষধ হিসেবে পরিচিত। এই ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো খুবই সীমিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো নিজ থেকে চলে যায়।

ইমিস্টেট এর সম্ভাব্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: 

  • মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া,
  • ১ ভাগ রোগীদের ক্ষেত্রে শরীরে চুলকানি বা ফুসকুড়ি,
  • ফ্লাশিং, হেঁচকি এবং লিভারের এনজাইমের অস্বাভাবিকতা,
  • অ্যানাফিল্যাক্সিস,
  • এনজাইনা (বুকে ব্যথা),

 

অন্যান্য সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

  • তীব্র মাথাব্যথা অনুভূত হতে পারে,
  • ওজন কমে যেতে পারে,
  • হালকা বা মাঝারি ধরণের ডায়রিয়া হতে পারে,
  • বুকের মাঝখানের অংশে চিনচিন ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন সেবনের ফলে  উপরিউক্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দিতে পারে। তবে এই সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরে চলমান থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

 

গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদানকালে ইমিস্টেট সেবন

গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০-৩০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন গ্রহণ করা যেতে পারে। ইমিস্টেট ৫০ মি.লি ভ্রূণের কোনরূপ ক্ষতি করে বলে এ পর্যন্ত কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এই ঔষধ নিয়ে গর্ভবতী মহিলাদের উপর কোন গবেষণা চালানো হয়নি। তাই গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র অনিবার্য কারণবশত ইমিস্টেট সেবন করা যেতে পারে। তবে স্তন্যদানকারী মায়েরা ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন এবং ইমিস্টেট ৫০ মি.লি পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ইমিস্টেট স্তন্যের মাধ্যমে শিশুদেহে  যেয়ে কোন ঝুঁকি সৃষ্টি করে কিনা, সে বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা নেই। অতএব, স্তন্যদানকালে  ইমিস্টেট ৫০ মি.লি সেবন শুরু করার আগেও আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। মনে রাখবেন, আমরা উপরোক্ত তথ্যগুলো শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতেই আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। তাই, ওষুধ গ্রহণের পূর্বে নিজের শারীরিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করুন এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঔষধ সেবন করুন।

 

প্রতি নির্দেশনা

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন (Ondansetron) সেবন করা উচিত নয়:

  • যেসব রোগীরা ইতোমধ্যে 5- HT3 রিসেপ্টর বিরোধী‌ কোন ঔষধ সেবন করছেন তারা ইমিস্টেট সেবন করবেন না,
  • গ্যাস্ট্রিক বা অন্ত্রের পেরিস্টালসিসকে উদ্দীপ্ত করে এমন কোন ঔষধ সেবনকালে ইমিস্টেট সেবন উচিত নয়,
  • গ্যাস্ট্রিক ডিসটেনশন এর সমস্যা রয়েছে যাদের তারা ইমিস্টেট সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।

 

ইমিস্টেট এর ওভারডোজ এর প্রভাব

ইমিস্টেট ঔষধ এর ওভারডোজ গ্রহণে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে এর কোন নির্দিষ্ট প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। ইমিস্টেট এর ওভারডোজ গ্রহনের রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে এবং হাইপোটেনশন এ ভুগতে পারেন। তবে এরূপ পরিস্থিতিতে ৪৮ মিলিগ্রাম অ্যাভোনা ট্যাবলেট গ্রহণ করলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।

 

Emistat থেরাপিউটিক ক্লাস 

এর থেরাপিউটিক ক্লাস হলঃ Anti-emetic drugs

 

Emistat – সতর্কতা

Emistat (Ondansetron) সেবন নির্ধারণের আগে এবং নিয়মিতভাবে সেবনকালে কিছু বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। 

যেসব রোগীরা অন্যান্য 5-HT3 রিসেপ্টর বিরোধী  অতিসংবেদনশীলতা কোন ঔষধ সেবন করছেন তারা Emistat oral solution গ্রহণ করতে পারবেন না। যারা গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন সমস্যা ইতোমধ্যে আক্রান্ত তারা ইমিস্টেট ওরাল সলিউশন ব্যবহারের পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করুন। ইমিস্টেট ওরাল সলিউশন গ্রহণের ফলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই যাদের ইতোমধ্যে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা অথবা শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা রয়েছে তারাও ইমিস্টেট ওরাল সলিউশন এড়িয়ে চলুন। যারা ইতোমধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা ইনস্টেট ওরাল সলুশন গ্রহণের পূর্বে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে নিন।

 

রাসায়নিক গঠন 

সংকেতঃ  C18H19N3O

রাসায়নিক গঠনঃ

Emistat Oral Solution - ইমিস্টেট ওরাল সল্যুশন
Emistat Oral Solution

 

সংরক্ষণ

একটি শুকনো জায়গায় 30ºC তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। আলো ও আর্দ্রতা থেকে নিরাপদে রাখুন।

 

*** বিশেষ ঘোষণা

উক্ত তথ্যগুলো আমরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে বিভিন্ন সোর্স থেকে কালেক্ট করে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। কিন্তু আমাদের এই তথ্যগুলো কোনভাবেই ডাক্তারের বিকল্প নয়। তাই কোন ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আমরা শুধুমাত্র আপনাদের সাধারণ জ্ঞান প্রদানের জন্য উপরিউক্ত তথ্য তুলে ধরেছি। তাই এই ঔষধের কার্যকারিতা এবং উপকারিতা নিয়ে আমরা শতভাগ গ্যারান্টি প্রদান করছি না। উপরে বর্ণিত ঔষধ সেবন করে আপনি যদি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্মুখীন হন তাহলে আমরা কোনভাবেই দায়ী থাকব না।

  • এই তথ্যগুলো শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞান প্রদানের জন্য তুলে ধরা হয়েছে, কোনভাবেই ডাক্তারের বিকল্প নয় এই তথ্যগুলো।
  • ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

 

“আরো পড়ুন”

নিউকস বি (neucos b) ১০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট | দাম – নির্দেশিকা – মাত্রা সেবনবিধি



Emistat (ইমিস্টেট) সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর 

 

১)Emistat কখন খাওয়া উচিত?

উঃ কেমোথেরাপি শেষ হওয়ার পর ১-২ দিনের জন্য একটি ১০  মিলি ডোজ দিনে দুবার গ্রহণ করতে হবে। প্রতি ১২ ঘন্টা পরপর ঔষধ গ্রহণ করা উচিত।

২)Emistat 8mg এর কাজ কি?

উঃ কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির কারণে বমি ভাব প্রতিরোধে Emistat 8mg ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৩) বাচ্চাদের বমির সিরাপ কি?

উঃ Emeset 2 MG Syrup বাচ্চাদের বমি ভাব নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪)Emistat কখন খেতে হয়?

উঃ যেকোনো থেরাপি গ্রহণের অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা আগে Emistat সিরাপ বাচ্চাদের দেওয়া উচিত।

৫)Emistat 4mg 5ml এর কাজ কি?

উঃ ইমিস্টেট ৪ এম জি 5ml এন্টিমেটিকস ড্রাগ গ্রুপের অন্তর্গত একটি ঔষধ। সার্জারি , কেমোথেরাপি এবং বিকিরণ থেকে সৃষ্ট বমি ভাব এড়াতে Emistat 4mg 5ml কাজ করে থাকে।

৬)Ondansetron কখন খাওয়া উচিত?

উঃ কেমোথেরাপি শুরু হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে Ondansetron পরিমাণ মত সেবন করা উচিত।

৭)Emistat Ft 4 mg কি কাজ করে?

উঃ ইমিস্টেট ৪ মিলিগ্রাম ইনজেকশন ক্যান্সারের সময় কেমোথেরাপির কারণে সৃষ্ট হওয়া বমি ভাব এবং শরীরের অস্থিরতা কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। রেডিয়েশন থেরাপি এবং বিভিন্ন সার্জারিতে ঔষধটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৮)ইমিসটেট সিরাপ কি কাজ করে?

উঃ কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশনের কারণে সৃষ্ট বমি ও বমিভাব, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে রাসায়নিক সেরোটোনিনের মুক্তিতে বাধা দেওয়াই হল ইমিস্টেট সিরাপ এর কাজ।

৯)অনডানসেট্রন কতদিন খেতে হয়?

উঃ যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বা 12 বছরের বেশি বয়স্ক মানুষ ৮ মিলিগ্রাম করে প্রথম ডোজ গ্রহণ করার ৮ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন। যেকোনো থেরাপির পর এক থেকে দুই দিন পর্যন্ত অনডানসেট্রন সেবন করা যেতে পারে।

১০)অনডানসেট্রন বেশি খেলে কি হয়?

উঃ অনডানসেট্রন বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া ও মাথাব্যথা জনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে।



রেফারেন্স

 

 

 

Related Posts
Napa Extra 500 mg+65 mg Tablet (নাপা এক্সট্রা ৫০০ মি:গ্র:+৬৫ মি:গ্রা: ট্যাবলেট)
Napa Extra

Napa Extra 500 mg+65 mg Tablet (নাপা এক্সট্রা ৫০০ মি:গ্র:+৬৫ মি:গ্রা: ট্যাবলেট) নাপা এক্সট্রা (Napa Extra) প্যারাসিটামল ও ক্যাফেইন এর Read more

এইস প্লাস | Ace Plus Tablet | দাম – জেনেরিক – খাওয়ার নিয়ম ও যাবতীয় তথ্য
এইস প্লাস

এইস প্লাস | Ace Plus Tablet  জেনেরিক নামঃ  প্যারাসিটামল  উপাদানঃ প্যারাসিটামল + ক্যাফেইন  প্রস্তুতকারক কোম্পানিঃ স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড      এইস প্লাস Read more

টামেন টার্বো | Tamen Turbo Tablet | দাম – জেনেরিক – খাওয়ার নিয়ম ও যাবতীয় তথ্য 
টামেন টার্বো

টামেন টার্বো | Tamen Turbo Tablet নামঃ  Tamen Turbo500 (mg+65 mg) ধরনঃ ট্যাবলেট জেনেরিক নামঃ  প্যারাসিটামল  উপাদানঃ প্যারাসিটামল + ক্যাফেইন  Read more

মোনাস ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট | Monas 10 mg Tablet
মোনাস ১০

Monas 10 mg Tablet | মোনাস ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট  জেনেরিক নামঃ   মন্টিলুকাস্ট  প্রস্তুতকারক কোম্পানিঃ    ACME ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড মোনাস Read more

প্রোভেয়ার ১০ মি.গ্রা.ট্যাবলেট | Provair 10 mg Tablet
প্রোভেয়ার ১০ মি.গ্রা.ট্যাবলেট | provair 10 mg tablet

প্রোভেয়ার ১০ মি.গ্রা.ট্যাবলেট | provair 10 mg tablet  জেনেরিক নামঃ   মন্টিলুকাস্ট  প্রস্তুতকারক কোম্পানিঃ   Unimed Unihealth MFG প্রোভেয়ার ১০mg Read more

ফেক্সো ১২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট | Fexo 120mg Tablet
ফেক্সো ১২০

ফেক্সো ১২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট | Fexo 120mg Tablet জেনেরিক নামঃ  ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড প্রস্তুতকারক কোম্পানিঃ   স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি.   ফেক্সো Read more

Leave a Comment