পেয়ারার উপকারিতা | Benefits of Guava

পেয়ারার উপকারিতা

Table of Contents

পেয়ারার উপকারিতা

পেয়ারা একটি সহজলভ্য দামে কম মানে ভালো একটি ফল। পেয়ারা সবুজ রঙের একটি সুন্দর ও সুস্বাদু ফল। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকার জন্য একে ভিটামিনের খনিও বলা হয়ে থাকে। পেয়ারার উপকারিতা এবং পুষ্টিগুন অনেক। শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে পেয়ারা সহায়তা করে এছাড়াও ঋতু পরিবর্তন এর জন্য ভাইরাস জনিত অসুখ দূর করতে সাহায্য করে। শীত, বর্ষা বা গ্রীষ্ম পেয়ারা  সারা বছরই পাওয়া যায়। তাই আপনি চাইলে আপনার প্রতিদিনের খাবারের ডায়েটে ফল হিসেবে  পেয়ারা  রাখতে পারেন।

 

পেয়ারার পুষ্টিগুণ 

পেয়ারা নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। এই পুষ্টি গুণগুলি  হলো-

  • ভিটামিন সি 
  • পটাশিয়াম 
  • ক্যালশিয়াম 
  • আঁশ 
  • ফোলেট 
  • ক্যারোটিনয়েটস 
  • আইরন 
  • খনিজ 
  • ভিটামিন এ 
  • ক্রিপ্টোয্যানথিন 
  • লুটেইন 
  • ডায়াটারি ফাইবার সহজে হজম হয় এমন শর্করা 

নিয়মিত পেয়ারা খেলে আপনার ত্বক থাকবে সতেজ এবং চেহারায় বয়সের ছাপ সহজে পড়বে না সেই সাথে আপনার দৃষ্টি শক্তি বাড়িয়ে তুলবে।

 

পেয়ারার উপকারিতা 

সুস্থ থাকতে চাইলে মৌসুমী ফল খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। তবে আমাদের দেশে এখন পেয়ারা সারা বছরই পাওয়া যায়। প্রতিদিন পেয়ারা ফেলে যেসব উপকার পাওয়া যাবে চলুন জেনে নিই-

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পেয়ারার উপকারিতা অপরিসীম। ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হলো পেয়ারা। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে যা পেয়ারার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। নিয়মিত  পেয়ারা খাওয়ার ফলে শরীর হতে ক্ষতিকারক ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দূরীভূত হয়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা দুর্বল তারা প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা নিয়ম করে খাবেন। 

 

হার্ট সুস্থ রাখে 

পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম। যা একজন ব্যক্তির হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই দুইটি উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। গবেষণা হতে জানা যায় যে, খাবারের আগে যদি পাকা পেয়ারা খাওয়া যায় তবে রক্তচাপ কমবে। এটি কোলেস্টেরল কমাতেও সহায়তা করে এবং উপকারী কোলেস্টেরল ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে।  পেয়ারা পাতার রস স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। পেয়ারার নির্যাস স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঢুকে কমাতে সহায়তা করে। 

 

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য পেয়ারার উপকারীতা

ডায়াবেটিস রোগীদের শুনে হয়তো অবাক হয়ে যাবেন যে পেয়ারা মিষ্টি হলেও এটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। কেননা এটি ফাইবারের একটি ভালো উৎস সেই সঙ্গে গ্লাইসেমিক সূচকও কম রয়েছে। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা ক্ষতিকর নয়। পেয়ারায় থাকা ফাইবার আপনার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করবে কম গ্লাইসেমিক সূচক চিনির হার বৃদ্ধি রোধ করবে। 

 

পেয়ারা আপনার ওজন কমাতে কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং জাদুকরী গুন দিয়ে স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বজায় রাখে

পেয়ারায় পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি থাকলেও এটি ওজন কমাতে দারুন কার্যকরী। আমাদের বিপাক ক্ষমতা উন্নত করার জন্য পেয়ারা সাহায্য করে। সেই সাথে প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবার গ্রহণের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। পেয়ারার পাতাতেও রয়েছে বেশ উপকার তাই চাইলে প্রতিদিন চিনি যুক্ত চা খাবার বদলে পেয়ারা পাতার চা খেতে পারেন এতে ওজন দ্রুত কম। পেয়ারার আরেকটি জাদুকরী গুন হল এটিতে যেমন ক্যালরি কম থাকে কিন্তু এর বিপরীতে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখে। 

 

ক্যান্সার প্রতিরোধী 

পেয়ারার উপকারিতা রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধেও। পেয়ারায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপেন যা ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। নির্দিষ্ট করে বলা যায় যে, স্তন ক্যান্সার আর প্রোস্টেট ক্যান্সার এর জন্য পেয়ারা উপকারী।

 

ডায়রিয়া রোধে  

ডায়রিয়ার বিরুদ্ধেও পেয়ারা প্রতিরোধ গড়তে পারে। নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। কারণ পেয়ারায় রয়েছে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার সক্ষমতা। 

 

দৃষ্টিশক্তির জন্য 

পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন এ যার রাতকানা রোগ দূর করতে এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। 

প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত একটি পেয়ারা খান এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে অন্যান্য শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকবে এবং কঠিনতর দূরুব্যাধি  হতে মুক্ত রাখবে। 

 

অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে কি হয় 

কেবল পেয়ারার উপকারিতা নয়, পেয়ারার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও আপনার অবশ্যই জানা উচিত 

স্বাদ এবং বৈশিষ্ট্যের জন্য পেয়ারা অনেকেরই প্রিয় একটি ফল। অন্যান্য অনেক ফলের মত পেয়ারাও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে পেয়ারার উপকারিতার  চেয়ে বেশি অপকার হতে পারে। এখন জেনে নিব পেয়ারার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি-

 

সর্দি-কাশির আশঙ্কা রয়েছে 

 

যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের বেশি  পেয়ারা খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলা উচিত কারণ পেয়ারা খুবই ঠান্ডা একটি ফল। এটি অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে সর্দি-কাশি বাড়তে পারে।

 

গর্ভবতী মহিলাদের বেশি খাওয়া উচিত নয় 

গর্ভবতী ও দ্রুত দানকারী মহিলাদের পেয়ারা বেশি খাওয়া ঠিক নয় কারণ এটি অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে হজমে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে কেননা পেয়ারা খেলে ফাইবার বাড়ে। 

 

পেট খারাপ হতে পারে  

অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়ার ফলে পেটের রোগ হতে পারে। এটি আপনার হজম শক্তি দুর্বল করে দিতে পারে এবং শরীরের অন্যান্য সিস্টেমে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। 

 

পেট ফাঁপা

অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খেলে পেট ফাঁপা হতে পারে। পেয়ারেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি বা ফ্রুকটোজ যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলে পেট ফোলা ভাব হতে পারে এবং গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারে।

 

একজিমার ঝুঁকি 

পেয়ারা পাতার নির্যাসের মাধ্যমে একজিমা হতে পারে। এই পাতার মাধ্যমে ত্বকের জ্বালা ভাব অনুভূত হতে পারে। কারো যদি একজিমা গুরুতর পর্যায়ে থাকে তবে তাকে অবশ্যই সাবধানের সঙ্গে পেয়ারা পাতার নির্যাস ব্যবহার করতে হবে। 

 

দাঁতে ব্যথা হতে পারে 

অনেকে পাকা পেয়ারা বেশি স্বাদ বলে বেশি বেশি খেয়ে থাকেন কিন্তু এতে দাঁত ব্যাথা হতে পারে বা তাদের অন্য কোন রোগ হতে পারে। 

পেয়ারা অত্যন্ত উপকারী এবং সুস্বাদু একটি ফল। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই ফল উপকারের বদলে অপকার করতে পারে। তাই পেয়ারা খেলেও সীমিত পরিমাণে খাবেন আর যাদের উপরোক্ত সমস্যা রয়েছে তারা সর্তকতার সাথে  খাবেন।

 

দিনে কতটুকু পেয়ারা খাওয়া উচিত 

দিনে একটি পেয়ারা খেলে অন্তত চার থেকে পাঁচটি ফলের সমান হয় কারণ পেয়ারাতে রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চিনি কিন্তু পরিমিত পরিমান চিনি খাওয়া প্রতিটি মানুষের উচিত। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় অত্যাধিক চিনি জাতীয় খাবার না রাখাই উত্তম কারণ অতিরিক্ত চিনি আপনার বিভিন্ন রোগ ডেকে আনে এছাড়াও দাঁতের ক্ষয় সমস্যা সৃষ্টি করতে  পারে।



পেয়ারা খাওয়ার পর পানি খাওয়া উচিত নয় কেন 

শুধু পেয়ারা বলে নয় যে কোন ফল খাওয়ার পর পানি  খাওয়া উচিত নয়। কেননা ফল খাওয়ার পর পানি খেলে হজম প্রক্রিয়া এবং শোষণে হস্তক্ষেপ হতে পারে ফলে এসিডিটি হয়ে থাকে। অনেকের এই খারাপ অভ্যাস আছে এবং এর পরে তাদের অস্বস্তি বোধ হয়ে থাকে। তাই ফল খাওয়ার পর অন্তত এক ঘন্টা পাওয়ার পানি খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। 

 

উপসংহার | পেয়ারার উপকারিতা

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল পেয়ারায় রয়েছে নানা ধরনের উপকারীতা ভিটামিন যা কমলার চেয়েও চার গুণ বেশি। আরো রয়েছে প্রয়োজনীয় আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি উপাদান যা শরীরের খনিজ ও ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে থাকে। সর্বোপরি পেয়ারার উপকারিতা যেন বলে শেষ হবে না। আশা করি এই আর্টিকেল পড়ে পেয়ারার উপকারিতা এবং এই সম্পর্কিত অনেক তথ্য আপনারা পেয়ে যাবেন যা আপনাদের কখন পেয়ারা খেতে হবে এবং কখন বিরত থাকতে হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেবে।

 

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন | পেয়ারার উপকারিতা

১. পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময়? 

উত্তর: দুটি ভারী খাবার খাওয়ার মাঝে ফল খাওয়া ভালো। প্রতিদিন খাবারের ডায়েটে একটি খেতে পারেন তবে রাতে ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কেননা এতে ঠান্ডা বা কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

 

২. পেয়ারা খেলে কি গ্যাস হয়? 

উত্তর: প্রতিটি জিনিসেরই একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো ফল হয় দেয় না। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খান তবে পেট ফাঁপা হতে পারে। কারণ এই ফলের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি যা ফ্রূকটোজ নামে পরিচিত। এটি হজম ও শোষণ হতে বেশ সমস্যা হয় ফলে পেট ফোলা ভাব  বা গ্যাস হতে পারে।

 

৩. পেয়ারা খেলে কি ওজন বাড়ে? 

উত্তর: পেয়ারায় প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে তবে এই ফল কোনরকম  ওজন বাড়ায় না। পেয়ারায় রয়েছে ব্যাটারি ফাইবার সেই সঙ্গে রয়েছে এমন শর্করা যা সহজেই হজম করা যায়। নিয়মিত পেয়ারা খেলে ওজন না বেড়ে বরং অতিরিক্ত ওজন ধরানো সম্ভব। 

 

৪. পেয়ারা কি ভালো? 

উত্তর: পেয়ারায় ফাইবার অনেক বেশি রয়েছে কিন্তু ক্যালোরি কম রয়েছে তাই এটি একটি আদর্শ ফল। পেয়ারার উপকারিতা হল এটি হজমে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সহায়তা করে। পেয়ারা স্বাস্থ্যকর রোগ প্রতিরোধ যেমন ত্বক চুল হাড় দাঁত এবং চোখের জন্য খুব ভালো। এছাড়াও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে। 

 

Read More

ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
পেটে গ্যাস এর লক্ষণ
বদহজম দূর করার উপায়
কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা
আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা পেঁপের উপকারিতা
Related Posts
এলার্জির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম | এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়
এলার্জির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

এলার্জি রোগের ইংরেজি নাম হল হাইপারসেনসিটিভিটি। এলার্জি রোগীদের অতি সংবেদনশীলতার রোগী হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। যে ব্যক্তি যে ধরনের এলার্জি Read more

রক্তে এলার্জির লক্ষণ
রক্তে এলার্জির লক্ষণ

রক্তে এলার্জি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। আজকাল অনেক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। আবার অনেকের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার Read more

ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়

নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের মুখে ব্রণ একটি কমন সমস্যা। পুরুষরা বেশিরভাগ সময়ে ঘরের বাইরে অবস্থান করেন। বাইরে ধুলাবালি মুখে ব্রণ তৈরি Read more

বদহজম দূর করার উপায়
বদহজম দূর করার উপায়

বদহজম খুবই স্বাভাবিক এবং প্রচলিত একটি সমস্যা। বদহজমের সমস্যা হয় না এমন মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। কমবেশি সবাই এই Read more

কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা রসুনে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন ভিটামিন থেকে শুরু করে বায়োএকটিভ যৌগ যা মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য Read more

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা লবঙ্গের বৈজ্ঞানিক নাম হল সিজিজিওমোরোমেটাম। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এটি বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ গাছে Read more

Leave a Comment