Table of Contents
Toggleলেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
লেবু হলো এক ধরনের সাইট্রাস ফল যা স্বাদে ও বহুমুখীতার জন্য পরিচিত। লেবু ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেয়। উচ্চ মাএায় ভিটামিন সি কন্টেন্ট কোলেজেন বাড়ায়। লেবুতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড মৃদু এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে ও ত্বকের মৃত কোষগুলোকে দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া আমরা এখন জানবো লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়। লেবুর রসে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এক্সফোলেয়েটিং উপাদান থাকার কারনে এটি সম্ভাব্য ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রস ত্বকে ব্যবহার করতে হলে সামান্য লেবুর রসের সাথে জল মিশিয়ে একটি পাতলা দ্রবণ তৈরি করতে হবে। তুলো দিয়ে সে দ্রবণে ভিজিয়ে ত্বকে ব্রণ যেখানে সেই আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে। কয়েক মিনিটের জন্য রেখে দিন এরপর ধুয়ে ফেলুন। তবে সর্তক থাকুন লেবুর রস ব্যবহারে অনেকের ত্বকে জ্বালা করে। ব্যবহারে আগে প্রথমে একটি প্যাচ পরিক্ষা করা এবং অতিরিক্ত ব্যবহার না করার পরামর্শ রইলো।
লেবু দিয়ে কি ব্রণ সারানো যায়
ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য নষ্ট করে দিতে পারে এই ব্রণ। ত্বক ভালো করে পরিষ্কার না করা, ত্বকে অতিরিক্ত তেল এ হতে পারে ব্রণ। লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করতে পারবেন সহজে। লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে লেবুর রসের সাথে অন্য কোন প্রাকৃতিক উপাদান আছে তা ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে ব্রণের দাগ দূর হবে সাথে সাথে ত্বকে কালচে ভাবও দূর হয়ে যাবে। এছাড়া এতে আছে ভিটামিন সি যা ত্বকের নিরাময় করে এবং প্রদাহ কমায়। এছাড়া এটি ত্বকের বিভিন্ন আক্রান্ত জায়গা মেরামত করতে সাহায্য করে। এই লেবুর রস ত্বকে লাগানোর চেয়ে খাওয়া বেশি উপকারী। যা শরীরে অন্যান্য উপকারসহ ত্বকের গভীরে কাজ করে। এছাড়া লেবুর রসে ভিটামিন বি৬ রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। সরাসরি ত্বকে লেবু না লাগিয়ে এর সাথে কিছু উপাদান ব্যবহার করলে দ্রুত তা কার্যকর প্রভাব ফেলে ত্বকে ব্রণ সারতে।
লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার ১০ টি উপায়
লেবু যেমন রন্ধন কাজে ব্যবহার করা হয় তেমনি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। লেবুতে আছে ভিটামিন সি যা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে।এতে আছে সাইট্রিক অ্যাসিড যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। এছাড়াও এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ফ্ল্যাভোনয়েডস,প্রাকৃতিক অ্যাসিড যা ত্বকের ব্রণকে উন্নতি করে ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। এখন ১০টি উপায় সম্পর্কে জানবো যা ত্বকে ব্রণ দূর করবে:
১) লেবুর রস টোনার হিসেবে ব্যবহার:
লেবুর রস টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে ত্বকে। টোনার বানানোর জন্য প্রথমে ২-৩ টা লেবুর রস একটা পাএে রাখতে হবে। এরপর এতে সামান্য জল মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর মিশ্রনটি একটা স্প্রে বোতলে রেখে দিতে হবে। রাতে ঘুৃমানোর আগে ত্বকে এই দ্রবনটি স্প্রে করে দিতে হবে। এটি ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং ছিদ্রগুলি বন্ধ করতে সাহায্য করে।
২) লেবু এবং মধুর মাস্ক:
একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ফেইস মাস্কের জন্য লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখবেন ১০-১৫ মিনিট। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এটি ত্বকের ফ্রি রেডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং সম্ভাব্য ক্ষতি কমায়।
৩) লেবু এবং দইয়ের মাস্ক:
লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় আরেকটি হচ্ছে লেবু এবং দইয়ের ফেইস মাস্ক। এক্সফোলিয়েটিং হিসেবে কাজ করে। ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। যাদের ত্বক অতিরিক্ত ড্রাই তারা এই ফেইস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন এটি ত্বককে কোমল করবে।ত্বকের গভীরে যেয়ে কাজ করবে। মাস্কটি বানানোর জন্য সামান্য লেবুর রস সাথে টক দই এবং এক চিমটি চিনি মিশিয়ে নিন। এরপর ব্যবহার করুন।
৪) লেবুর রস দিয়ে দাগের চিকিৎসা:
লেবু থেকে রস বের করে সেই রসে তুলো দিয়ে সামান্য ভিজিয়ে যে জায়গায় ব্রনের দাগ আছে সে জায়গায় তুলার ভেজা অংশ লাগানো। এরকম ব্রণের দাগ দূর করতে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
৫) লেবু এবং অ্যালোভেরা জেল:
গরমে ত্বকে প্রশান্তি এনে দিতে। একটু ঠান্ডা অনুভব আনতে লেবু এবং অ্যালোভেরা জেলের মাস্কটি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। সেজন্য যা করতে হবে ১চামচ লেবুর রসের সাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে দিতে হবে। চাইলে এই মিশ্রনটি বরফ করে বাহিরে থেকে এসে সে বরফ কুচি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।
৬) ত্বকে বোটক্স ট্রিটমেন্ট:
ত্বকে বলি দূর করতে,মৃত কোষ অপসারণে ও পুরানো দাগ দূর করতে এই মাস্কটি লেবুর সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য প্রথমে একটি ডিম, এক চামচ কফি মিশাবেন। তারপর একটা আস্ত লেবু ২ ভাগ করে ১ ভাগে সেই মিশ্রণটি লাগিয়ে। আলতো করে সারা ত্বকে লাগাবেন। কতক্ষণ ত্বকে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলবেন।
৭) লেবু মিশ্রিত জল:
লেবুর রসের সাথে সামান্য জল মিশিয়ে ত্বকে স্প্রে করতে পারেন। এটি ত্বককে হাইড্রেট রাখেন। ত্বকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত দূর করে ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
৮) লেবু এবং গ্রিন টি স্টিম:
এক বড় পাএে গরম পানির সাথে গ্রিন টি এবং লেবুর রস যোগ করেন। এটি ত্বকের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে এবং পরিস্কার করে। তাই যাদের অতিরিক্ত ব্রণ আছে তার সপ্তাহে ১ বার হলেও এই স্টিমটি ত্বকে প্রয়োগ করতে পারেন।
৯) লেবু এবং ওটমিল মাস্ক:
ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করতে। অতিরিক্ত তেল দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন এ মাস্কটি ওটমিল আপনার ত্বকে এক্সফোলোয়েটিং হিসেবে কাজ করে। ত্বককে করে তোলে প্রশান্তিময়। এজন্য লেবুর রসের সাথে ২ চা চামচ ওটমিল সাথে মধু মিশাতে পারেন। এরপর ১০ মিনিট ধরে ত্বকে রেখে দিবেন ও পরে ধুয়ে ফেলবেন।
১০) লেবু এবং নারিকেল তেল:
শীতে ত্বককে হাইড্রেট রাখতে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে নারিকেল তেলের সাথে সামন্য লেবির রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। অত্যাধিক তৈলাক্ত এড়াতে অল্প পরিমান ব্যবহার করুন।
অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করতে ভুলবেন না এবং ত্বকে জ্বালাপোড়া দেখা দিলে ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায়
যদিও ৭ দিনে ব্রণ দূর করা চ্যালেঞ্জিং একটা ব্যাপার। তবে এসব নিয়ম অনুসরণ করলে আপনি ৭ দিনে আপনার ত্বককে করতে পারবেন ব্রণমুক্ত। সেজন্য আপনাকে নিয়মিত এই নিয়মগুলে অনুসরণ করতে হবে। যে যে পদক্ষেপ আপনি নিতে পারেন।
প্রতিদিন দুইবার পরিষ্কার করুন:
ত্বকে জমানো ময়লা, অতিরিক্ত তেল অপসারণের জন্য প্রতিদিন ত্বক দুইবার ভালোমানের একটি ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। যাদের ত্বকে ব্রণ আছে তারা লেবু ও গ্রিন টি মিশ্রিত এরকম উপাদান আছে সে ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন।
তোয়ালে পরিষ্কার করুন:
যে তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে মুখ মুছবেন তা অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। অনেক সময় ময়লা কাপড় বা অন্যর ব্যবহৃত কাপড় ব্যবহার করলে ত্বকে হতে পারে ব্রণ। তাই সবসময় কাপড় পরিষ্কার রাখতে হবে।
টোনার ব্যবহার:
যারা প্রতিদিন মেকআপ ব্যবহার করেন তারা মেকআপ তুলে ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করার পর ভালোমানের একটা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে আদ্রতা বজায় রাখতে টোনার বজায় রাখতে পারেন। যাদের ব্রণ আছে তার লেবুর রস এবং জল মিশ্রিত টোনার ব্যবহার করতে পারেন
সূর্য থেকে রক্ষা:
ত্বককে সূর্যের বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। অবশ্য এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে যা ত্বকে স্যুট করবে ত্বককে অতিরিক্ত তৈলাক্ত করবে না। সর্তক থাকতে হবে লেবুর রস ত্বকে ব্যবহার করে বাহিরে যাওয়া যাবে না। এতে ত্বকে ক্ষতি হতে পারে।
আহার এবং হাইড্রেশন:
ত্বকের ব্রণ সারাতে খেতে হবে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার। ফলমূল, শাকসবজি খেতে প্রচুর। তৈলাক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। গ্রিন টি খেতে হবে প্রতিদিন। হাইড্রেট রাখতে ত্বককে বেশি করে পানি খেতে হবে প্রতিদিন।
এছাড়া লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে যে ফেইস মাস্ক রয়েছে সেগুলে ব্যবহাট করতে হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে হতে পারেন ব্রণ। এছাড়া ত্বককে ঠিকমত পরিষ্কার না করার ফলে ত্বকে ময়লা জমে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন হয় যা আপনার ত্বকে ব্রণ বৃদ্ধি করে। এজন্য প্রতিদিন ২ বার ত্বক পরিষ্কার করা। লেবুর রস ব্রণ দূর করার অন্যতম একটি মাধ্যম। লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যা ত্বকের গভীরে যেয়ে কাজ করে ও ত্বককে পরিষ্কার রাখে। এজন্য লেবুর রস দিয়ে ঘরোয়া পেইস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য লেবুর রসের সাথে ওটসমিল দিতে পারেন। ওটসমিল ত্বকে অতিরিক্ত তেল দূর করে। ত্বকের এক্সফোলোয়েটিং হিসেবে কাজ করে। ত্বককে রাখে পরিষ্কার। এছাড়া লেবুর রসের সাথে মধু বা হলুদের গুড়া ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। শেষে অবশ্য লাইট একটা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। যা ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন থেকে বিরত রাখে। লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে লেবুর রসের সাথে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হবে।
ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
ছেলেদের মুখে লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে এখন জানবো। ব্রণ দূর করতে প্রতিদিন মুখকে পরিষ্কার রাখতে হবে সকালে ও রাতে । ত্বকে ব্যবহারকৃত কাপড় পরিষ্কার রাখতে হবে। সারাদিন অফিস করার পর বাসায় এসে অবশ্য পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে। ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর মুখে এক্সফোলোয়েটিং করতে হবে সপ্তাহে ১ বার। অবশ্য এক্সফোলোয়েটিং হিসেবে লেবুর রস রাখতে হবে। এরপর ভালো মানের একটা ময়েশ্চারাইজার দিতে হবে ত্বকের ধরন অনু্যায়ী। ২/৩ মিনিট পর ত্বকে সিরাম ব্যবহার করতে হবে। চাইলে রাতে লেবুর রস দিয়ে টোনার ব্যবহার করতে পারেন। এটা খুবই উপকারী ত্বকের জন্য। অবশ্য প্রতিদিন বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
ব্রণ প্রতিরোধে করণীয়
লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে যে নিয়মগুলো দেয়া হয়েছে তা দিয়ে খুব সহজে ব্রণ দূর করা যাবে। লেবুতে আছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, ভিটামিন বি৬ যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। যারা ব্রণ নিয়ে অনেক ভুগছেন তারা লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়১০ টি নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। এছাড়া ত্বককে প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করতে হবে ডাবল ক্লিনজার দিয়ে এরপর ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। তারপর ভালো মানের একটি সিরাম ব্যবহার করতে পারেন অবশ্যই আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী। কোন কিছু প্রয়োগ করার আগে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ কাছে পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি সুষম খাবার, শাকসবজি খেতে হবে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত এড়াতে এক্সফোলোয়েটিং করতে হবে সপ্তাহে ১ বার।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন | লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
লেবুর রস দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়?
প্রতিদিন এই লেবুর রসের এই মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন ত্বক ফর্সার জন্য। এজন্য সামান্য লেবুর রস, ১ চা চামচ হলুদের গুড়া ও মধু মিশ্রিত মাস্ক ত্বকে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বক ফর্সা করতে সপ্তাহে ১ বার মাস্কটি ব্যবহার করুন।
ব্রণের জন্য সবচেয়ে ভালো ফেসওয়াশ কোনটি?
ব্রণের জন্য সবচেয়ে ভালো ফেসওয়াশ হচ্ছে যে ফেসওয়াশে লেবু ও গ্রিন টি উপাদান রয়েছে। তাই ফেসওয়াশ কেনার আগে এই উপাদানগুলো আছে কি না দেখে নিবেন।
চিনি ও লেবুর রস মুখে দিলে কি হয়?
চিনি এক্সফোলোয়েটিং হিসেবে কাজ করে আর লেবুর রস ত্বকে ময়লা পরিষ্কার করে। চিনি ও লেবুর রস একসাথে ব্যবহার করলে তা মুখের মৃত কোষ দূর করা সহ ত্বকের গভীরে পরিষ্কার করবে।
লেবুর রস মুখে দিলে কি ক্ষতি হয়?
লেবুর রস সবার জন্য উপযুক্ত নয়। কারণ এর অ্যাসিড অনেকে মুখে অস্বস্থি সৃষ্টি করতে পারে তাই লেবু সরাসরি মুখে লাগানোর আগে প্যাচ টেস্ট করতে হবে।
লেবুর রস খেলে কি ব্রণ বাড়ে?
না, লেবুর রস খেলে বরং ব্রণ কমে। ত্বকের মেরামত কাজে প্রতিদিন খাবারে সাথে একটি লেবু রাখা আবশ্যক। এর মধ্য উপাদান ভিটামিন সি ত্বকের ব্রণ কমাতে ও উন্নতিতে সাহায্য করে।
পরিশেষে
পরিশেষে বলা যায় লেবু আমাদের রন্ধন কাজের, খাবারে সুস্বাদু বৃদ্ধি ছাড়াও ত্বকে ব্রণ দূর করতেও ব্যবহৃত হয়। ত্বককে সুস্থ রাখতে লেবুতে রয়েছে কার্যকরী উপাদন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। যা ত্বকে ব্রণ প্রতিরোধ করে ও প্রদাহ কমায়। যাদের অতিরিক্ত ব্রণ তারা লেবুর রস দিয়ে বিভিন্ন ফেইস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া অবশ্যই ত্বকে লেবু প্রয়োগ করার আগে প্যাচ পরীক্ষা করে নিতে হবে। ত্বকে জ্বালাভাব হলে তৎক্ষনাৎ লেবু ব্যবহার বন্ধ করতে হবে ও দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।
Read More:
- লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
- আমলকী খান আর শরীরের পরিবর্তন নিজেই দেখুন
- কালো জিরার উপকারিতা | টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
এলার্জি রোগের ইংরেজি নাম হল হাইপারসেনসিটিভিটি। এলার্জি রোগীদের অতি সংবেদনশীলতার রোগী হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। যে ব্যক্তি যে ধরনের এলার্জি Read more
রক্তে এলার্জি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। আজকাল অনেক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। আবার অনেকের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার Read more
নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের মুখে ব্রণ একটি কমন সমস্যা। পুরুষরা বেশিরভাগ সময়ে ঘরের বাইরে অবস্থান করেন। বাইরে ধুলাবালি মুখে ব্রণ তৈরি Read more
বদহজম খুবই স্বাভাবিক এবং প্রচলিত একটি সমস্যা। বদহজমের সমস্যা হয় না এমন মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। কমবেশি সবাই এই Read more
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যে কতটা অস্বস্তিকর তা একমাত্র তারাই জানেন যারা এই সমস্যায় ভুগছেন। পেটে গ্যাস হলে সাধারণ কিছু লক্ষণের মাধ্যমেই Read more
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা লবঙ্গের বৈজ্ঞানিক নাম হল সিজিজিওমোরোমেটাম। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এটি বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ গাছে Read more