কোরালক্যাল-ডি ট্যাবলেট | CoralCal-D Tablet | Radiant Pharmaceuticals Ltd.

কোরালক্যাল-ডি ট্যাবলেট CoralCal-D Tablet

Table of Contents

কোরালক্যাল-ডি ট্যাবলেট | CoralCal-D Tablet  

জেনেরিক নামঃ  Calcium Carbonate [Coral source] + Vitamin D3 

প্রস্তুতকারক কোম্পানিঃ  Radiant Pharmaceuticals Ltd..

কোরালক্যাল-ডি’র দামঃ 

  • প্রতি পিসঃ  ১২ টাকা
  • পাতাঃ  ১২০ টাকা (১০ টি ট্যাবলেট)
  • বক্সঃ  ৭২০ টাকা (৬*১০ টি ট্যাবলেট)

কোরালক্যাল-ডি হচ্ছে একটি মিশ্র ট্যাবলেট যা ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর সমন্বয়ে তৈরি। ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, আর ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণে সাহায্য করে। এই ঔষধটি মূলত অস্টিওপরোসিস, অস্টিওম্যালাসিয়া, টিটানি, এবং হাইপো-প্যারাথাইরয়েডিজম এর মতো হাড়ের সমস্যা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান কালে খাদ্যে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ এবং শিশু-কিশোরদের দ্রুত বৃদ্ধির সময় ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে গর্ভবতী ও স্তন্যদান করানো মায়েদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। কোরালক্যাল ডি সাধারণত নিরাপদ ঔষধ, তবে কিছু ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বা বমি দেখা দিতে পারে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, CoralCal-D কিছু ঔষধের সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে। বিশেষ করে, থায়াজাইড মূত্রবর্ধক এবং সিস্টেমিক কর্টিকোস্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবন করলে চিকিৎসককে অবহিত করুন। মনে রাখবেন, কোরালক্যাল ডি সহ যে কোনো ঔষধ সেবন করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।   

কোরালক্যাল-ডি এর বিকল্পঃ

ক্রমঃ বিকল্প কোম্পানি দাম
১. Calboral-D Square Pharmaceuticals PLC. ৩৩০ টাকা
২. Becorall D Beximco Pharmaceuticals Ltd. ১০০ টাকা
৩. Corabon-D Nuvista Pharma Ltd. ১০০ টাকা
৪. Oceancal-D General Pharmaceuticals Ltd. ১১০ টাকা
৫. Ostocal G Eskayef Bangladesh Ltd. ১১০ টাকা

 

নির্দেশনা 

নীচে বর্ণিত পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শে CoralCal-D নির্দেশিত হয়: 

  • হাড়ের সমস্যা: অস্টিওপরোসিস (হাড় ক্ষয়), অস্টিওম্যালাসিয়া (হাড় নরম হওয়া), টিটানি, এবং হাইপো-প্যারা থাইরয়েডিজমের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে।
  • ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ: শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে ক্যালসিয়ামের অপ্রতুলতা, রিকেটস, গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকাল, এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে খাদ্যের অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট হিসাবে।
  • অন্যান্য: প্যানক্রিয়াটাইটিস (প্যানক্রিয়াসের প্রদাহ) এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি বিকলের ক্ষেত্রে ফসফেট বন্ধনে।

ফার্মাকোলজি

আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজের জন্য রক্তে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম থাকা জরুরী। কারণ শরীরের অভ্যন্তরীণ জৈব রসায়ন এমনকী সামান্য সময়ের জন্যও ক্যালসিয়ামের অভাব ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ক্যালসিয়াম অস্টিওপরোসিস এবং এর সাথে সম্পর্কিত ফাটল প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় কার্যকর। ভিটামিন ডি ও সুস্থ হাড়ের জন্য অত্যন্ত জরুরী কারণ এটি পাকস্থলী থেকে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। শুধু তাই না, এটি হাড়ের গঠন দৃঢ় করে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর মিলিত প্রভাব হাড়ের বৃদ্ধি, অস্টিওপরোসিস এবং ফাটল প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কোরালক্যাল ডি তে ক্যালসিয়াম কার্বনেট প্রবাল থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই প্রবাল ক্যালসিয়ামের রাসায়নিক গঠন মানব হাড়ের উপাদানের সাথে খুব মিল। অন্যান্য উৎসের তুলনায় প্রবাল ক্যালসিয়ামের শোষণ আরও ভালো। ভিটামিন ডি৩ পাকস্থলী থেকে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে এবং শরীরে ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

CoralCal-Dr – কোরালক্যাল-ডি এর মাত্রা ও সেবনবিধি  

কোরালক্যাল-ডির মাত্রা নির্ধারণ ও সেবনবিধি (Dosage & Administration) হল:

কোরালক্যাল ডি দুইটি ভিন্ন মাত্রায় পাওয়া যায়:

  • সাধারণ ট্যাবলেট: চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসারে, প্রতিদিন এক বা দুইবার প্রচুর পানি সহ একটা ট্যাবলেট সেবন করুন। খাবার পরে খেলে শোষণ আরও ভালো হয়।
  • এফারভেসেন্ট ট্যাবলেট: একটি ট্যাবলেট গ্লাসে পানিতে গুলিয়ে পান করুন। পান করার আগে চামচ দিয়ে গোলাবেন। খাবার পরে খেলে শোষণ আরও ভালো হয়।

*  সর্বদা চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন, নিজে থেকে কোন ওষুধ গ্রহন করবেন না। 

কোরালক্যাল-ডির ওষুধের মিথস্ক্রিয়া

কোরালক্যাল ডি সেবন করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরী। যেমন, থায়াজাইড মূত্রবর্ধক জাতীয় ঔষধের সাথে সাথে কোরালক্যাল-ডি খেলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ক্যালসিয়ামের শোষণ কমিয়ে দেয়। ফলে, কোরালক্যাল ডি এর সাথে স্টেরয়েড সেবন করতে হলে ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেটের মাত্রা বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। আবার, আয়ন এক্সচেঞ্জ রেজিন এবং রেচক জাতীয় ঔষধের সাথে কোরালক্যাল ডি একসাথে সেবন করলে পাকস্থলী ও অন্ত্রে ভিটামিন ডি এর শোষণ কমে যেতে পারে। টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় এন্টিবায়োটিকের সাথে CoralCal-D সেবন এড়িয়ে চলুন। কারণ, কোরালক্যাল ডি এ থাকা ক্যালসিয়াম কার্বোনেট এই এন্টিবায়োটিকের শোষণে বাধা দেয়। অন্যদিকে, হৃদরোগের কিছু ঔষধের সাথে কোরালক্যাল ডি একসাথে সেবন করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাড়ার ঝুঁকি থাকে। এজন্য, কোরালক্যাল ডি সেবনকালে নিয়মিতভাবে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা জরুরী। Bisphosphonate বা সোডিয়াম ফ্লুওরাইড জাতীয় ঔষধের সাথেও কোরালক্যাল ডি সেবন করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন। কারণ, একসাথে সেবন করলে পাকস্থলী ও অন্ত্রে ক্যালসিয়ামের শোষণ কমে যেতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রেও সচেতন থাকুন। পালং শাক, রুবার্ব জাতীয় সবজি এবং খাদ্যশস্যে থাকা অক্সালিক এসিড ও ফাইটিক এসিড ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে অ দ্রবণীয় লবণ তৈরি করে, ফলে ক্যালসিয়ামের শোষণ কমিয়ে দেয়। সুতরাং, কোরালক্যাল-ডি সেবনের দুই ঘণ্টা আগে বা পরে এই ধরনের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। 

কোরালক্যাল-ডি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কোরালক্যাল-ডি সাধারণত নিরাপদ ঔষধ হলেও কিছু ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

  • পাকস্থলীয় সমস্যা: CoralCal-D ট্যাবলেটে থাকা ক্যালসিয়াম কার্বোনেট পাকস্থল ও অন্ত্রে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম: সাধারণত কোরালক্যাল ডি সেবনের ফলে রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের মাত্রা বিরল। তবে, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অন্যান্য সমস্যা: অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া, অনিয়মিত হৃদস্পন্দ, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, শুকনো মুখ এবং ঘুম পাওয়া ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের কারণে ত্বকে র্যাশ দেখা দেওয়ারও কিছু কিছু ক্ষেত্রে রিপোর্ট আছে।

কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে বা শরীরে অস্বাভাবিকতা অনুভব করলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদানকালে CoralCal-D সেবন 

গর্ভবতী মা ও স্তন্যদান করানো মায়েদের ক্ষেত্রে কোরালক্যাল ডি সেবন নিয়ে কিছু বিষয় জানা জরুরী:

গর্ভাবস্থায় সেবন:

গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ক্যালসিয়ামের সর্বোচ্চ মাত্রা ১৫০০ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন ডি (কোলেক্যালসিফেরল) এর সর্বোচ্চ মাত্রা ৬০০ ー (১৫ মাইক্রোগ্রাম) অতিক্রম করা উচিত নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণীদের ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ডি গর্ভাবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সেবন এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এটি গর্ভস্থ শিশুর বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, গর্ভাবস্থায় যদি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে এই ঔষধ সেবন করা যেতে পারে।

স্তন্যদানকালে সেবন:

স্তন্যদান করানো মায়েরাও চিকিৎসকের পরামর্শে কোরালক্যাল ডি সেবন করতে পারেন। স্তন্যদানের সময় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি স্তন্যপানে মিশে যায়। এ কারণে শিশুকে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেওয়ার আগে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

** স্মরণ রাখবেন:** গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানের সময় কোনো ঔষধ সেবন করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

প্রতি নির্দেশনা

কোরালক্যাল-ডি সেবন করার আগে কিছু বিষয়ে সাবধান থাকা জরুরী। রক্তের যদি মৃদু পর্যায়ের হাইপারক্যালসিইউরিয়া থাকে, অর্থাৎ সামান্য বেশি ক্যালসিয়াম, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, এই ক্ষেত্রে কোরালক্যাল-ডি এর মাত্রা কমানো এবং নিয়মিত পরীক্ষা করা জরুরী। এছাড়া, মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের কিডনি সমস্যা থাকলে এবং দীর্ঘদিন ধরে CoralCal-D সেবন করতে হলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। কিডনিতে পাথর থাকা অথবা অতীতে পাথর থাকার ইতিহাস থাকলেও সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী।

কোরালক্যাল-ডি এর ওভারডোজ এর প্রভাব

কোরালক্যাল ডির নির্দেশিত মাত্রার চেয়ে বেশি খেলে হাইপারভিটামিনোসিস ডি এবং হাইপারক্যালসিমিয়া হতে পারে। হাইপারক্যালসেমিয়া ফলে অরুচি, পিপাসা, বমি বমি ভাব, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা, স্নায়ু দুর্বলতা, ক্লান্তি, মানসিক সমস্যা, অতিরিক্ত পানি খাওয়া (পলিডিপসিয়া) এবং প্রস্রাবে (পলিউরিয়া) ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও হাড়ের ব্যথা, কিডনিতে ক্যালসিয়াম জমা (নেফ্রন ক্যালসিনোসিস) এবং পাথর (নেফ্রোলিথিয়াসিস) সহ হৃদপিন্ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মারাত্মক ক্ষেত্রে কোমা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত  হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকলে কিডনির ক্ষতিসহ পেশী  ও কোমল  কলায় ক্যালসিয়াম জমা হয়ে যেতে পারে। কোরালক্যাল ডি এর মাত্রাধিক্য এর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। চিকিৎসকেরা সাধারণত CoralCal-D সেবন বন্ধ করার পাশাপাশি থায়াজাইড মূত্রবর্ধক, লিথিয়াম, ভিটামিন এ এবং হৃদপিন্ডের গ্লাইকোসাইড জাতীয় ঔষধ সেবনও বন্ধ করার পরামর্শ দেন। বিশেষ প্রয়োজনে ক্ষেত্রে পেট পরিষ্কার করা, রিহাইড্রেশন এবং বিসফসফোনেট, ক্যালসিটোনিন ও কর্টিকোস্টেরয়েড -এর একক বা  মিশ্রিত চিকিৎসা দেওয়া হতে পারে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রক্তে ইলেক্ট্রোলাইট এর মাত্রা, কিডনি ফাংশন এবং প্রস্রাবের পরিমাণ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা জরুরী।

CoralCal-D থেরাপিউটিক ক্লাস 

এর থেরাপিউটিক ক্লাস হলঃ  Specific mineral & vitamin combined preparations

কোরালক্যাল-ডি – সতর্কতা 

কোরালক্যাল-ডি সাধারণত নিরাপদ ঔষধ হলেও কিছু ক্ষেত্রে এটি সেবন করা উচিত নয়। এই অবস্থাগুলোকে চিকিৎসা পরিভাষায় “নিষেধ” (Contraindications) বলা হয়। যদি আপনার নিম্নলিখিত কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে কোরালক্যাল ডি সেবন করা এড়িয়ে চলুন:

  • রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের মাত্রা (Hypercalcemia) থাকলে কোরালক্যাল ডি সেবন সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • অতিমাত্রা থাইরয়েড গ্রন্থি (Hyperthyroidism) থাকলেও কোরালক্যাল-ডি সেবন ঠিক নয়।
  • কিডনিতে পাথর (Renal calculi & nephrolithiasis) থাকলে কোরালক্যাল ডি সেবন কিডনির সমস্যা আরও জটিল করে তুলতে পারে।
  • জোলিঞ্জার-এলিসন সিন্ড্রোম (Zollinger-Ellison Syndrome) নামক এই বিরল পাকস্থলীতে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোরালক্যাল-ডি সেবন একেবারেই নিষেধ।

উপরে উল্লিখিত যেকোনো সমস্যা থাকলে আপনার চিকিৎসককে জানান। চিকিৎসক আপনার জন্য উপযুক্ত ঔষধ নির্ধারণ করবেন এবং কোরালক্যাল ডি সেবন করা উচিত হবে কিনা, সে বিষয়ে পরামর্শ দেবেন। নিজের থেকে কখনোই কোনো ঔষধ সেবন করবেন না।

রাসায়নিক গঠন 

সংকেতঃ  [Ca(H2O)6]2+

রাসায়নিক গঠনঃ

কোরালক্যাল-ডি ট্যাবলেট  CoralCal-D Tablet
কোরালক্যাল-ডি  CoralCal-D 

 

সংরক্ষণ 

একটি শীতল, শুষ্ক স্থানে আলো এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

***বিশেষ ঘোষণা

উল্লেখিত তথ্যগুলি আমরা সতর্কতার সহিত বিভিন্ন সোর্স থেকে সংগ্রহ করেছি তবে এগুলো কোনভাবেই ডাক্তারদের বিকল্প নয়, তাই কোন ওষুধ ব্যবহার করতে ডাক্তারদের পরামর্শ নিন। বিভিন্ন সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করার কারণে এগুলোর  কার্যকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি না। তাই উপরে বর্ণিত তথ্যের কারণে ওষুধ সেবনের পর কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিংবা অপকারিতার জন্য আমরা দায়ী নই।

  • এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য যা কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়।
  • সেবন করার আগে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

“আরো পড়ুন”

লোসাটান ৫০ (Losatan 50) মি.গ্রা. ট্যাবলেট | দাম – নির্দেশিকা – মাত্রা সেবনবিধি

 

CoralCal-D (কোরালক্যাল-ডি) সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্নঃ CoralCal-D কিসের ঔষধ?

উত্তরঃ  কোরালক্যাল-ডি হলো ক্যালসিয়াম কার্বোনেট এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ একটি ঔষধ যা প্রাথমিকভাবে হাড়ের গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম হল একটি খনিজ যা হাড় শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয়। ভিটামিন ডি হল একটি ভিটামিন যা শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে।

প্রস্নঃ দিনে কতবার CoralCal-D নেওয়া যায়?

উত্তরঃ   দিনে কতবার কোরালক্যাল-ডি খাবেন তা শুধুমাত্র একজন ডাক্তারই পারেন। কারণ,  আপনার বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা, হাড়ের ঘনত্ব, অন্যান্য ঔষধ সেবন, এবং কোরালক্যাল-ডি এর মাত্রার উপর নির্ভর করে কতবার খাবেন তা নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত, ডাক্তাররা দিনে একবার কোরালক্যাল-ডি খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে, কিছু ক্ষেত্রে দিনে দুবার খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

প্রশ্নঃ CoralCal-D এর দাম কত?

উত্তরঃ  কোরালক্যাল-ডি র দাম, প্রতি পিসঃ  ১২ টাকা, ৩০ টি ট্যাবলেট এর একটি কৌটাঃ  ৭২০ টাকা। 

প্রস্নঃ কোরালক্যাল-ডি খাওয়ার অপকারিতা

উত্তরঃ সাধারণত কোরালক্যাল-ডি একটি নিরাপদ ওষুধ। তবে কিছু ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব, বা বমি হতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, এবং মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রশ্নঃ কোরালক্যাল-ডি খাওয়ার উপকারিতা

উত্তরঃ  কোরালক্যাল-ডি, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ একটি ঔষধ যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। উপকারিতা, হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে। রিকেটস প্রতিরোধ করে এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। স্নায়ু ও পেশির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। টিটেনাস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

প্রশ্নঃ কোরালক্যাল-ডি খাওয়ার নিয়ম?

উত্তরঃ  কোরালক্যাল-ডি, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ, হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। ডাক্তারের নির্দেশ মেনে চলুন – মাত্রা আপনার বয়স এর ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, খাবারের সাথে/পরে পানির সাথে নিন।  

প্রস্নঃ কোরালক্যাল-ডি কি জাতীয় ওষুধ?

উত্তরঃ  কোরালক্যাল-ডি হলো ক্যালসিয়াম জাতীয় ওষুধ। 

প্রস্নঃ কোরালক্যাল-ডি ট্যাবলেট এর কাজ কি?

উত্তরঃ  ক্যালসিয়াম হাড়ের প্রধান উপাদান। কোরালক্যাল-ডি ট্যাবলেট শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং অস্টিওপোরোসিস (হাড়ের ক্ষয়) প্রতিরোধে সাহায্য করে। রিকেটস প্রতিরোধ: শিশুদের হাড়ের অস্বাভাবিক রোধে সাহায্য করে। দাঁতের স্বাস্থ্য: দাঁতের গঠন ও বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে এবং দাঁতের ক্ষয় (cavity) রোধে সাহায্য করে। টিটেনাস প্রতিরোধ: পেশীর কড়া হয়ে যাওয়া রোধে সাহায্য করে।  গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান: গর্ভবতী ও স্তনদানকারী মায়েদের ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রস্নঃ গর্ভবতী মায়েদের CoralCal-D খাওয়া কি ক্ষতিকর? 

উত্তরঃ   কোরালক্যাল-ডি গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী কারণ: শিশুর হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মায়ের হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে। দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। পেশীর কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

প্রস্নঃ ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট অতিরিক্ত খেলে কি হয়?

উত্তরঃ  অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।  রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি, কিডনিতে পাথর, হাড়ের ক্ষয়, অন্যান্য ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়া, ও পেটের সমস্যা হয়।

প্রশ্নঃ কোরালক্যাল-ডি কি শিশুদের জন্য নিরাপদ?

উত্তরঃ  সাধারণত, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এক বছরের বেশি বয়সি শিশুদের জন্য কোরালক্যাল-ডি নিরাপদ বলে মনে করা হয়।

প্রস্নঃ কোরালক্যাল-ডি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি? 

উত্তরঃ কোরালক্যাল-ডি, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ একটি ঔষধ যা সাধারণত নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে রক্তে অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম এর কারনে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, পেটে অস্বস্তি: পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব, বমি, মাথা ব্যথা, মুখ শুষ্ক হওয়া, পেশী ও হাড়ে ব্যথা, ঝিমুনি দেখা দেয়। দীর্ঘস্থায়ীভাবে অতিরিক্ত মাত্রায় কোরালক্যাল-ডি সেবন কিডনি ক্ষতির কারণ হতে পারে।

 

রেফারেন্স

Leave a Comment