Table of Contents
Toggleকমলা খাওয়ার উপকারিতা
ছোট সাইট্রাস জাতীয় গাছের রসালো জনপ্রিয় ফল। কমলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এই ফল সাধারণত সরাসরি খাওয়া হয়। আবার ফ্রুট সালাদে ব্যবহৃত হয়। কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়া ভিটামিন এ, বি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, কোলিন অন্যান্য উপাদানে পূর্ণ এই ফল।
স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য পরিচিত কমলা। এই ফলে ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস রয়েছে। টক মিষ্টি স্বাদযুক্ত এই ফল দেখতে যেমন সুন্দর, ঠিক তেমনই উপকারী। কমলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস।
কমলা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী। যেকোনো অসুখে দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়তা করে এই ফল। নিয়মিত কমলা খেলে নানান রকম উপকারিতা মেলে। যেমন: ওজন কমাতে, ক্যান্সার প্রতিরোধ, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে, ত্বক সুন্দর করে। এজন্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন কমলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কমলার পুষ্টিগুণ
কমলা সুপরিচিত একটা ফল। প্রায় সারাবছরই বাংলাদেশে এই ফল পাওয়া যায়। ফলটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানে না। আজ জেনে নেওয়া যাক কমলাতে কতটুকু পরিমাণ পুষ্টি উপাদান এবং কমলা খাওয়ার উপকারিতা।
১০০ গ্রাম কমলায়– ক্যালোরি ৪৭ গ্রাম, পানি ৮৭ গ্রাম, প্রোটিন ০.৯ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১১.৮ গ্রাম, শর্করা ৯.৪ গ্রাম, ফাইবার ২.৪ গ্রাম। ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। আমাদের শরীরে যতটুকু পরিমাণ ভিটামিন সি প্রয়োজন কার সবটুকুই কমলাতে রয়েছে।
কমলা খাওয়ার ৮ টি উপকারিতা
কমলা রঙের সুস্বাদু এই টক মিষ্টি ফলটি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কমলা স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ডায়েটারি ফাইবার বিদ্যমান। আজ জেনে নেওয়া যাক পুষ্টিগুণে ভরপুর কমলা খাওয়ার উপকারিতা –
১। কমলা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে
শীতকালে আমাদের সবার ত্বকের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ত্বকের সৌন্দর্যতা কমে যায়। এই সৌন্দর্য ধরে রাখতে আমাদের ত্বকের বাড়তি যত্ন রাখা টা একান্ত দরকার। আর এজন্য আপনার উপকারী বন্ধু হচ্ছে কমলা। নিয়মিত কমলা খেলে শরীরে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যেটা ফ্রী রেডিক্যাল ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এর পাশাপাশি ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে ও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এর ফলে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়।
২। কমলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি রয়েছে ফিয়ামিন নিয়াসিন রাইবোফ্লোবিন ভিটামিন বি৬ ফোলেট ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম ম্যাঙ্গানিজ সেলেনিয়াম ও কপার বিদ্যমান। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুন কাজ করে। প্রতিদিন কমলালেবু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতো শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে, ছোট বড় সকল প্রকার রোগ ধারে কাছে ঘেষতে পারে না এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে হ্রাস পায়।
৩। চোখের সমস্যা নিরাময়ে কমলা
বর্তমান যুগে শিশু থেকে বয়ষ্ক বেশিরভাগ মানুষেরই চোখের সমস্যা। কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাসিয়াম ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। নিয়মিত কমলালেবু খেলে চোখের সমস্যা সমাধান হবে। চোখের মিউকাস মেমব্রেনকেও স্বাস্থ্যকর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪। ক্যান্সার থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে
ডি- লিমনির নামক এক প্রকার যৌগ কমলালেবুতে রয়েছে। যেটা ত্বকের ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, স্তনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুন কাজ করে এবং ক্যান্সারের সাথে লড়তে সাহায্য করে। ভিটামিন সি নিয়মিত সেবন করলে ১৫% ক্যান্সার সারিয়ে তোলা সম্ভব।
৫। হার্টের সমস্যায় কমলালেবু
কমলা লেবুতে রয়েছে পটাসিয়াম, ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে দারুণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত কমলার জুস খেলে রক্তে জমে থাকা চর্বির পরিমাণ হ্রাস পায়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।
৬।পেটের সমস্যায় কমলা
ডায়েটরি ফাইবার এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস কমলালেবু তে রয়েছে। যা পেট ও অন্ত্রগুলোকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি গ্যাস্ট্রিক ও এসিডের পরিমাণ হ্রাস পায়। কমলা ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় পেটের আলসার ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকেই না বলতে গেলে।
৭।কমলা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
কমলা ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক উপকারী। এতে রয়েছে ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস, তারা নিয়মিত কমলা খেতে শুরু করলে এটা কমতে শুরু করে।
৮।ওজন নিয়ন্ত্রণে কমলা
কমলা ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ক্যালোরি যুক্ত ফল হিসেবে পরিচিত। প্রায় ৮৫ শতাংশ পানি দ্বারা গঠিত এই ফল। এই পানিতে দ্রবীভূত ভিটামিন সি ওজন কমাতে দারুন কাজ করে।
কমলা খাওয়ার নিয়ম
কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাবারের সঙ্গে খেতে পারলে ভালো। খালি পেটে ভিটামিন সি জাতীয় ফল খেলে অ্যাসিড বাড়িয়ে দিবে। শীতকালে কমলা ভরপুর থাকে। অনেকে ভাবেন যে, সকালে এই ফল খেলে ভিটামিন সি তে ভরপুর হবে; অনেক উপকার হবে।
কমলা খাওয়ার উপকারিতা সকালে যদি দুধের সাথে কমলা খাওয়া হয় শরীরে উপকারের বদৌলে আরো ক্ষতির আশঙ্কা হবে। দুধের প্রোটিন ও ফলের অ্যাসিড শরীরে বদহজমের সৃষ্টি করে। এতে পেট ফাঁপা, পেট ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে।
কমলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা
কমলা খাওয়ার উপকারিতা আমরা জানলাম। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে কমলার খোসার অনেক অজানা উপকারিতা রয়েছে। কমলার খোসায় পলিফেনল নামক এক প্রকার উদ্ভিজ্জ উপাদান রয়েছে। যা স্থুলতা ও ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ মোকাবেলা এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য উপকারী। ফলের থেকে খোসায় পলিফেনলের উপস্থিতি অনেক বেশি। খোসার মধ্যে রয়েছে এসেন্সিয়াল অয়েল। এটি লাইমোনেন সমৃদ্ধ, যা চামড়ার ক্যান্সার মোকাবেলায় সাহায্য করে থাকে। কমলার খোসায় অতি উচ্চমানের আঁশ রয়েছে, যেটা পরিপাক ক্রিয়া সঠিকভাবে বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
কমলার খোসায় সাইট্রিক এসিডের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। আপনি ঘরে খুব সহজে খোসার পাউডার করে নিতে পারেন। এর কষ জাতীয় পদার্থ প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। ত্বকের ব্ল্যাক হেড রিমুভার হিসেবে দারুন কাজ করে। নিয়মিত যদি মুখে স্ক্র্যাবার হিসেবে ব্যবহার করেন, তাহলে মুখের কালো দাগ ও ব্রণের দাগ দূর হবে।
খোসা পাউডার করার নিয়ম হচ্ছে – কিছু খোসা রোদে ভালো মতো শুকিয়ে নেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত শক্ত না হয়। এরপর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে মিহি করে নেন। এটা আপনি খেতে পারবেন এবং মুখেও ব্যবহার করতে পারবেন। দইয়ের সাথে মুখে মিশিয়ে দিতে পারেন।
রুম ফ্রেশনার হিসেবে কমলার খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। কমলার খোসা ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নেন এবং এর সাথে কিছু সুগন্ধি মশলা মিশিয়ে নেন। যদি ভ্যানিলা থাকে তাহলে তো আরো ভালো। একসাথে মিশিয়ে নিয়ে এককোণে রেখে দেন। পুরো রান্নাঘর ছড়িয়ে পড়বে সুগন্ধ। ঘরকে তরতাজা করে তুলবে। শুকনো কমলার খোসা চাইলে পুড়িয়ে এককোণে রাখতে পারেন।
রান্নাঘরের ক্লিনার হিসেবে কমলার খোসা এক দারুণ মাধ্যম হতে পারে। একটা এয়ার টাইট জারে কমলার খোসার সাথে ভিনিগার মিশিয়ে নিয়ে সংরক্ষণ করুন ২/৩ সপ্তাহ। এর মাঝে কয়েকবার করে ঝাঁকুনি দিয়ে নিবেন। তারপর এটি বের করে ফেলুন এবং স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করুন। রান্নাঘরের কিচেন কেবিনেট, গ্যাস স্টোভের ওপর, এডজাস্ট ফ্যানের ওপর একটু একটু করে স্প্রে করে মুছে নিন।
কমলা কখন খাওয়া উচিত
ফল আমাদের স্বাস্থ্য ও শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ফল থেকে আমরা অনেক পুষ্টি ও শক্তি পেয়ে থাকি। যেটা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত নিয়ম মেনে ফল খাওয়াটা খুব দরকার। কমলা খাওয়ার উপকারিতা অনেকেই জানেন না। যার কারণে অনেকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। কমলায় ভিটামিন সি তে ভরপুর। কমলা সকালে ও রাতে খাওয়া একদম ঠিক নয়। খাওয়ার এক ঘন্টা আগে অথবা পরে কমলা খেতে পারেন। ভিটামিন সি, মিনারেল ও প্রোটিনে ভরপুর কমলা খাওয়ার আগে খেলে ক্ষুধা বাড়ায় এবং খাওয়ার পরে খেলে খাবার হজমে সহায়তা করে।
কমলা খাওয়ার অপকারিতা
শীতের মৌসুমি ফল হিসেবে তালিকায় রয়েছে কমলা। স্বাদ ও পুষ্টির দিক দিয়ে এই ফল অতুলনীয়। টক মিষ্টি জাতের এই ফল ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, প্রোটিন, মিনারেল সমৃদ্ধ এই ফল শরীরের জন্য অনেক উপকারী। দৈনিক খাবারের তালিকায় এই ফল রাখলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুন কাজ করে। অবশ্যই কমলা একটি পুষ্টিকর ফল। কমলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। নিয়ম মেনে এই ফল খাওয়া উচিত। কিন্তু এই ফল দৈনিক যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়, সেটা উপকারের পরিবর্তে অপকার দেখা দিবে। প্রতিদিন কেউ যদি ৪-৫ টা কমলা খাওয়া শুরু করে, তাহলে অতিরিক্ত পরিমাণে সে ফাইবার গ্রহণ করবে। ফলে পেটে ব্যথা, পেটের সমস্যা, পেট ফুলে যাওয়া, পেটে খিঁচুনি, ডায়রিয়া ও বমিবমি ভাব সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আবার ভিটামিন সি অতি বেশি পরিমাণ খেলে বুক জ্বালা, হার্ট অ্যাটাক, বমির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের গ্যাস্ট্রোইসোফেগালের রিফ্লাক্স রোগের সমস্যা, তাদের আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রাকৃতিক ভাবে কমলা অ্যাসিডিক, যেটা বেশি পরিমাণে খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। যাদের রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি, তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কমলা নিয়ম মেনে খেতে পারেন। তবে প্রত্যেকেরই প্রতিদিন ১/২ টার বেশি কমলা খাওয়া ঠিক না।
শেষ কথা ( কমলা খাওয়ার উপকারিতা )
শীতের আগমনে কমলা লেবু সকলেরই চায় ই চায়। নানান পুষ্টিগুণে ভরপুর এই কমলা লেবু। কমলা লেবু কে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। শীতকালে প্রতিদিন একটা করে কমলা শরীর কে অনেক সুরক্ষা দেয়, যেটা আপনি জানলে অবাক হবেন।
আজকের আর্টিকেল টিতে কমলার পুষ্টিগুণ, কমলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা ও কখন কোন সময় কতটুকু খেতে হবে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি। পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে যদি আপনারা পড়েন এর থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন আশা করছি।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী:
১। কমলা খেলে কি ঠান্ডা লাগে?
উত্তর: ঠান্ডা লাগে না। বরং যারা স্বাস্থ্য সচেতন, শীতের শুরুতেই শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি জোগান দিতে কমলা লেবু খেতে পারেন।
২। প্রতিদিন কমলা লেবু খেলে কি হয়?
উত্তর: কমলালেবুতে অনেকটা ফাইবার রয়েছে। দৈনিক ২৫ থেকে ২৯ গ্রাম ফাইবার শরীরের পক্ষে একান্ত প্রয়োজনীয়।
৩। কমলার জুসে কি চিনির পরিমাণ বেশি?
উত্তর: কমলার জুস খাওয়ার স্বাস্থ্যকর উপায় হলো, বাড়তি চিনি যোগ না করে খাওয়া। সাইট্রাস জাতীয় ফল কমলা। এর স্বাদ মিষ্টিযুক্ত হলেও চিনির পরিমাণ একে বেশি থাকে না। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী ফল।
৪। দিনে কয়টি কমলা খাওয়া উচিত?
উত্তর: যাদের রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি ও শরীরে মিনারেলের পরিমাণ বেশি, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কমলা খাবেন। তবে সবারই দৈনিক ১-২ টার বেশি কমলা খাওয়া উচিত না।
Read More:
কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা
আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা পেঁপের উপকারিতা
এলার্জি রোগের ইংরেজি নাম হল হাইপারসেনসিটিভিটি। এলার্জি রোগীদের অতি সংবেদনশীলতার রোগী হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। যে ব্যক্তি যে ধরনের এলার্জি Read more
রক্তে এলার্জি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। আজকাল অনেক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। আবার অনেকের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার Read more
নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের মুখে ব্রণ একটি কমন সমস্যা। পুরুষরা বেশিরভাগ সময়ে ঘরের বাইরে অবস্থান করেন। বাইরে ধুলাবালি মুখে ব্রণ তৈরি Read more
বদহজম খুবই স্বাভাবিক এবং প্রচলিত একটি সমস্যা। বদহজমের সমস্যা হয় না এমন মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। কমবেশি সবাই এই Read more
কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা রসুনে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন ভিটামিন থেকে শুরু করে বায়োএকটিভ যৌগ যা মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য Read more
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা লবঙ্গের বৈজ্ঞানিক নাম হল সিজিজিওমোরোমেটাম। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এটি বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ গাছে Read more