Table of Contents
Toggleরাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
লবঙ্গের বৈজ্ঞানিক নাম হল সিজিজিওমোরোমেটাম। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এটি বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ গাছে যে ফুলের কুঁড়ি বের হয় সেটি শুকিয়েই লবঙ্গ তৈরি করা হয়। এদিকে অনেকে লং বলেও ডেকে থাকেন। বোটা সহ ফুল যখন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
এবং শুকিয়ে গেলেই লবঙ্গে পরিণত হয়। লবঙ্গতে বিদ্যমান রয়েছে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন এবং খনিজ লবণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: পটাশিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি।
এতে আরো থাকে বি-৬, বি-১২, ভিটামিন এ, সি, ই, ডি, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন থায়ামিন, ফোলেট ইত্যাদি। এই সবগুলো উপাদান একসাথে মিশ্রিত করলে একটি স্ট্রং এন্টি অক্সিডেন্ট তৈরি হয়।
এটি শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলস এর সমস্যা কমাতে ভালো কাজ করে। দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার প্রতিরোধেও লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব:
রাতে লবঙ্গ কিভাবে খাবেন | রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
বাঙালির প্রায় প্রত্যেকটা খাবারে লবঙ্গ ব্যবহার করা যায়। লবঙ্গের তেমন কোন সাইড ইফেক্ট না থাকায় সব ভাবেই এটি খাওয়া যায়। তবে রাতে ঘুমানোর আগে লবঙ্গ খেলে সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আপনি যদি রাতে লবঙ্গ খেতে চান তাহলে আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে পারেন। এতে করে লবঙ্গতে বিদ্যমান সবগুলো পুষ্টি উপাদান পাবেন। রাতে লবঙ্গ কিভাবে খাবেন এ নিয়ে আমরা নিচে আলোচনা করব:
লবঙ্গ চা
রাতে ঘুমানোর আগে সম্ভব হলে এক কাপ লবঙ্গ চা খেতে পারেন। লবঙ্গ চা আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি সর্দি কাশির থেকে সমস্যা থেকে পরিত্রান দিবে। চা বানানোর সময় পানি ফুটে উঠলে তার ভেতর কয়েকটি লবঙ্গ ছেড়ে দিন। চা তৈরি হয়ে গেলে ছেকে পান করতে পারেন।
গরম পানিতে লবঙ্গ
প্রতি রাতে গরম পানিতে কয়েক টুকরো লবঙ্গ ছেড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে ফোটাতে থাকুন। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে ছেকে পান করুন। এতে ঠান্ডা, কাশি সমস্যা কমার পাশাপাশি শরীর থেকে বাজে কোলেস্টেরল আসতে আসতে কমতে থাকবে। তাছাড়া হার্টের বিভিন্ন সমস্যা এটি খুবই উপকারী।
মধু ও লবঙ্গ
কয়েকটি লবঙ্গ দিয়ে কিছুটা পরিমাণ পাউডার তৈরি করুন। এর সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি তৈরি হয়ে গেলে সকাল এবং সন্ধ্যা দুইবেলা করে খেতে থাকুন। আপনার যদি মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি থেকে থাকে তাহলে লবঙ্গ মধু খাওয়ার ফলে পুরোপুরি কমে যাবে।
লবঙ্গ চিবিয়ে খান
লবঙ্গ থেকে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়ার জন্য এটি রাতে সেবন করতে হবে। দিনের বেলা অথবা সকালে লবঙ্গ খেলে তেমন একটা উপকার পাওয়া যায় না। চেষ্টা করবেন রাতে ঘুমানোর আগে ২-১ টা কাঁচা লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার। এতে করে লবঙ্গ থেকে যত উপকার পাওয়া যায় সবই পাবেন। মুখের এবং শ্বাসনালী দুর্গন্ধ দূর করার জন্য কাঁচা লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন।
লবঙ্গের পাউডার সেবন
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
কিছু লবঙ্গ একসাথে নিয়ে একটি পাউডার তৈরি করে রাখতে পারেন। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় এই পাউডারটি সামান্য মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এতে করে হজমের সমস্যা এবং পেটে ব্যথা পুরোপুরি দূর হবে।
লবঙ্গের ঔষধি গুনাগুন
লবঙ্গ তে বিদ্যমান রয়েছে নাইজেরিসিন উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই সহায়তা করে।মানুষের শরীরের তাপমাত্রা খুব দ্রুত বাড়িয়ে তুলতে লবঙ্গ কাজ করে।
তাছাড়া লবঙ্গ দিয়ে তৈরি তেল যেকোনো ব্যথা উপশমে খুব ভালো কাজ করে। এবং এই তেল চুল পড়া রোধেও কাজ করে। এতে বিদ্যমান অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাকস্থলীতে আলসার নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গ দ্রুত কাজ করে।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে পাকস্থলী সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আলসার তৈরি হতে পারে। নিয়মিত লবঙ্গ সেবন করলে শরীরে গ্যাসটিস মিউকাস তৈরি হয়। শরীরে যেসব আলসার তৈরি হয় তার নিয়ন্ত্রণে এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই পাকস্থলীর সহ সব ধরনের আলসার কমাতে প্রতিদিন রাতে একটি থেকে দুইটা লবঙ্গ চিবিয়ে খান।লবঙ্গের নানা রকম উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে। যে কোন উপায়ে লবঙ্গ খেলে শরীরের নানা সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে।
লবঙ্গ শরীরের নানা সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে।
দাঁতের ব্যাথা দূর করে
অনেক আগে থেকেই সামান্য দাঁত ব্যথা অথবা দাঁতের মাড়ি ফোলা সমস্যায় লবঙ্গ খেতে বলা
হয়ে থাকে। এবং এর বৈজ্ঞানিক সত্যতা রয়েছে। দাঁত থেকে তৈরি হওয়া বিভিন্ন সমস্যা যেমন: দাঁতের প্ল্যাক, দাঁতের ক্যাভিটি, দুর্বল মাড়ি, মাড়ির ফোলা ভাব, মুখের দুর্গন্ধ ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে নিয়মিত লবঙ্গের ব্যবহার করা যেতে পারে।
খাদ্যের বিষক্রিয়া দূর করে
অস্বাস্থ্যকর বা ফাস্টফুড খেয়ে মাঝে মাঝে যে পেটের সমস্যার সৃষ্টি হয় তা সারাতে লবঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা বিদ্যমান রয়েছে ইউজেনল নামক একটি উপাদান। খাদ্য থেকে তৈরি হওয়া কোলাই, স্টেপটোকক্কাস,স্ট্যাফিলোকক্কাস ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া দূর করতে লবঙ্গ ভালো কাজ করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
লবঙ্গ মানুষের শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে সাহায্য করে। নাইজেরিসিনের মাধ্যমে রক্তের প্রতিটি কোষে শর্করা পৌঁছে দেওয়া লবঙ্গের কাজ। এবং ইনসুলিন উৎপাদনের জন্য যেসব কোষগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তাদের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ইনসুলিন উৎপাদনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন রাতে লবঙ্গ সেবন করুন।
ক্যানসার প্রতিরোধে
লবঙ্গ তে বিদ্যমান থাকে ইউজেনল নামক একটি শক্তিশালী উপাদান। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অক্সিডেটিভ ক্ষতির কারণে মানুষের শরীরে যে ক্যান্সার দানা বাধে তা কমাতে ফ্রি রেডিকেল এর ভূমিকা রয়েছে। এবং এই ফ্রি রেডিকেল উৎপাদনে লবঙ্গ সাহায্য করে থাকে।
আলসার নিয়ন্ত্রণ করে:
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে পাকস্থলী সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আলসার তৈরি হতে পারে। নিয়মিত লবঙ্গ সেবন করলে শরীরে গ্যাসটিস মিউকাস তৈরি হয়। শরীরে যেসব আলসার তৈরি হয় তার নিয়ন্ত্রণে এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই পাকস্থলীর সহ সব ধরনের আলসার কমাতে প্রতিদিন রাতে একটি থেকে দুইটা লবঙ্গ চিবিয়ে খান।
লবঙ্গের নানা রকম উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে। যে কোন উপায়ে লবঙ্গ খেলে শরীরের নানা সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে। বিভিন্ন উপকারিতা থাকলেও এখানে আমরা লবঙ্গে দশটি গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা করব।
ব্যথা কমাতে
দেহের অভ্যন্তরে সব রকমের ব্যথার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যাদের জয়েন্টে ব্যথার পরিমাণ বেশি অথবা কিছু বিশেষ সময়ে শরীরে ব্যথা অনুভূত হয় তারা নিয়মিত লবঙ্গ সেবন করলে সব ধরনের ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন।
মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে
লবঙ্গে রয়েছে ইউজেনল না আমাকে একটু উপাদান যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অক্সিডেটেড সংক্রান্ত যেসব স্ট্রেস আমাদের শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে তাদের মোকাবেলায় লবঙ্গ কাজ করে। শরীরের সব স্ট্রেস এর মাত্রা কমিয়ে মস্তিষ্ককে রাখে সচল।
শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে জরুরি। লবঙ্গ তে বিদ্যমান রয়েছে কিছু সক্রিয় যৌগ। এগুলো ইনসুলিন এর সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়
লবঙ্গ তে বিদ্যমান রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি বিশেষ করে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় কাজ করে। হার্টের রক্তচাপ কমাতে, এবং হার্টের অভ্যন্তরে রক্ত নালীর বিভিন্ন সংক্রমণ মোকাবিলায় লবঙ্গ কাজ করে। এবং হার্ট থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতেও লবঙ্গ ধীরে ধীরে কাজ করে থাকে।
আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দূর করে
খুব দ্রুত আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দূর করতে লবঙ্গ ভালো কাজ করে। বিভিন্ন জায়গায় জয়েন্টের সমস্যা কমাতে এবং সমস্ত শরীরে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দূর করতে লবঙ্গ প্রতিদিন খেতে পারেন। হাড়ের দুর্বলতা রোধ করে হাড়কে শক্তিশালী করে তুলতে লবঙ্গ এর জুড়ি মেলা ভার।
সংক্রমনের ঝুঁকি কমায়
বিভিন্ন সংক্রমণের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন লবঙ্গ খাওয়া উচিত। যাতে শরীর বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হয়ে থাকে তাদের জন্য লবঙ্গ টনিক হিসেবে কাজ করে,
রাতে লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
রাতে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায় দিনে খেলে সেসব উপকার পাওয়া যায় না। তাই যারা নিয়মিত লবঙ্গ সেবন করেন তারা চেষ্টা করবেন রাতে চিবিয়ে খাওয়ার জন্য। এতে করে লবঙ্গতে বিদ্যমান পরিপূর্ণ পুষ্টি আপনার শরীরে পৌঁছাবে। চলুন জেনে নেই রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি?
- যৌন রোগের জন্য খুবই উপকারী। ( রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা )
- হজম এবং পিত্ত বিনাশকারী রোগের জন্য খুবই উপকারী।
- যারা নিয়মিত পেটে ব্যথায় ভোগেন তাদের জন্য রাতে লবঙ্গ খাওয়া উপকারী।
- হাঁপানি এবং জ্বর কমাতে রাতে ৷ লবঙ্গ চিবিয়ে খান।
- রাতে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে অবসাদের পরিমাণ কমে আসে।
- শরীর এবং মনের ক্লান্তি দূর করতে প্রতিদিন রাতে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন।
- রাতে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
- মাথাব্যথা এবং হাঁচি কাশির পরিমাণ কমাতে রাতে লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়া উচিত।
- রাতে লবঙ্গ খেলে বুকে জমে থাকা কফ বের হয়ে যায়।
লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। তবে লবঙ্গের কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে।হাইপারগ্লাইসিমিয়ার সমস্যা তৈরি হওয়ার জন্য সাধারণত অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়া দায়ী। এলার্জির সমস্যায় লবঙ্গ বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে প্রদাহ এবং চুলকানি অনুভূত হতে পারে। এছাড়া যাদের শরীরের গ্যাস হওয়ার সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
শেষ কথা | রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি তা হয়তো আমাদের আজকের এই আর্টিকেল দেখে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। যারা ক্যান্সার এর মত মরণব্যাধিতে ভুগছেন তাদের এই অসুখ কমাতেও লবঙ্গ খুব ভালো কাজ করে। এছাড়া যাদের আর্থাইটেসের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও লবঙ্গ খুবই উপকারী।
যারা রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলেন আজকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তবে আমরা যেসব অসুখ নিয়ে আলোচনা করেছি তাছাড়াও যদি আপনার শরীরে অন্য কোন উপসর্গ থেকে থাকে তাহলে লবঙ্গ খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী | রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
১)প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত?
উত্তর: প্রতিদিন দুটি করে লবঙ্গ খাওয়া উচিত।
২)লবঙ্গ খাওয়া কি ত্বকের জন্য ভালো?
উত্তর: লবঙ্গ ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ছাড়া ত্বকে ব্রণ এর মত সমস্যা কমাতেও লবঙ্গ সাহায্য করে।
৩)লবঙ্গ খেলে কি ওজন কমে?
উত্তর: লবঙ্গতে বিদ্যমান রয়েছে ইউজেনল উপাদান যা শরীর থেকে বাড়তি কোলেস্টেরল এবং মেদ ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। যারা ডায়েট করছেন তাদের ডায়েট চাইতে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে লবঙ্গ রাখলে ওজন ধীরে ধীরে কমে আসবে।
৪)লবঙ্গ কখন খাওয়া উচিত?
উত্তর: লবঙ্গ সাধারণত রাতে ঘুমানোর আগে চিবিয়ে খাওয়া উচিত। এতে করে লবঙ্গ তে যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে শরীরে পৌঁছাতে সাহায্য করে। দিনের বেলায় লবঙ্গ খেলে সব পুষ্টি উপাদান সঠিকভাবে পাওয়া যায় না।
Read More:
কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা
আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এলার্জি রোগের ইংরেজি নাম হল হাইপারসেনসিটিভিটি। এলার্জি রোগীদের অতি সংবেদনশীলতার রোগী হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। যে ব্যক্তি যে ধরনের এলার্জি Read more
রক্তে এলার্জি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। আজকাল অনেক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। আবার অনেকের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার Read more
নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের মুখে ব্রণ একটি কমন সমস্যা। পুরুষরা বেশিরভাগ সময়ে ঘরের বাইরে অবস্থান করেন। বাইরে ধুলাবালি মুখে ব্রণ তৈরি Read more
বদহজম খুবই স্বাভাবিক এবং প্রচলিত একটি সমস্যা। বদহজমের সমস্যা হয় না এমন মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। কমবেশি সবাই এই Read more
কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশীয় মসলাগুলো আয়ুর্বেদিক গুণসম্পন্ন হওয়ায় শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এগুলো ব্যবহার করা Read more
পেয়ারার উপকারিতা পেয়ারা একটি সহজলভ্য দামে কম মানে ভালো একটি ফল। পেয়ারা সবুজ রঙের একটি সুন্দর ও সুস্বাদু ফল। পেয়ারায় Read more