কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা | Benefits And Harms Of Raw Turmeric

কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা

Table of Contents

কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশীয় মসলাগুলো আয়ুর্বেদিক গুণসম্পন্ন হওয়ায় শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কাঁচা হলুদ একটি ঔষধি গুন সম্পন্ন মসলা হওয়ায় প্রতিদিন সেবন করলে ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়ে। তবে চেষ্টা করবেন প্রতিদিন খালি পেটে এবং সকালবেলায় এক টুকরো কাজা হলুদ চিবিয়ে খাওয়ার জন্য।

 

 এক্ষেত্রে হলুদ গুড়া পুরোপুরি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন জটিলতর হৃদরোগ মোকাবেলায় কাঁচা হলুদ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কাঁচা হলুদে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি উপাদান মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

 

এছাড়া অ্যালঝাইমার্স, গাটের ব্যথা, বাতের সমস্যা সহ জয়েন্টের ব্যথা, স্মৃতি ধ্বংসের সমস্যা ইত্যাদি মোকাবেলায় কাঁচা হলুদ ব্যাপকভাবে সমাদৃত। সারা বছর সকালে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

 

রোগ প্রতিরোধে হলুদের ঔষধি গুনাগুন

ভারতীয় আয়ুর্বেদিক অনুসরণ করলে দেখা যায় চৈনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে তারা কাঁচা হলুদ অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছে। এর অন্য নাম “ওষুধী ভেষজ”। এবং কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক আগে থেকেই চর্চিত। হলুদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রোগ প্রতিরোধ এর সক্ষমতা দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে। উপাদান গুলোর নাম হল: ইনফ্লামেশন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, কার্কুমিন, অ্যান্টিসেপটিক। তবে এখানে সব থেকে শক্তিশালী উপাদানের নাম হলো: কার্কুমিন।

 

 হলুদের রং স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে এই উপাদানটি কাজ করে। তাছাড়া কার্কুমিন নামক উপাদানটি টিউমার বিরোধী এবং প্রদাহবিরোধী। তাছাড়া কাঁচা হলুদের বিদ্যমান অন্যান্য উপাদান শরীরে কঠোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে। চলুন এক নজরে দেখে নেই রোগ প্রতিরোধে হলুদের ঔষধি গুনাগুন গুলো কি কি?



মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে

কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সবাই কম বেশি অজানা নয়। কাঁচা হলুদে বিদ্যমান রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। এটি টিস্যুর ধ্বংস রোধ করে এবং পার্কিনসনস, আলঝেইমার সাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। মস্তিষ্ক থেকে অতিরিক্ত স্ট্রেস এর মাত্রা কমিয়ে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

 

হজম ক্ষমতা বাড়ায়

সকালে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে পাচক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এবং পাঠক রস বেশি ক্ষরণ হওয়ায় বদহজমের মতো সমস্যাগুলো কমে যায়। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের প্রতিদিন কাচা হলুদ খেতে হবে।

 

যকৃত সুস্থ রাখে

যকৃতের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় কাঁচা হলুদ অবশ্যই খাওয়া উচিত। আমাদের যকৃতে যেসব সমস্যা তৈরি হয় সেগুলো হল: লিভারের বৃদ্ধি, হেপাটাইটিস, গলব্লাডার, সিরোসিস ইত্যাদি মোকাবেলায় কাঁচা হলুদ কাজ করে।

 

ত্বক সুরক্ষিত রাখে

আমাদের ত্বকে প্রতিনিয়ত বলিলেখা, ব্রণ, কালো দাগ, ব্ল্যাকহেডস ইত্যাদির মতো সমস্যা তৈরি হয়। কাঁচা হলুদ ত্বকের ভেতর থেকে টক্সিন বের করে আনতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের ভেতরে কোলাজিমের উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ফলে মুখে তৈরি হওয়া বিভিন্ন রকম সমস্যা থেকে খুব দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়।

 

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

কাঁচা হলুদের বিদ্যমান রয়েছে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান। যা ক্যান্সার তৈরি করি সব ধরনের সেলকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিদিন সকালে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খাওয়া উচিত।

 

ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করে

 

আমরা অনেকেই আবহাওয়া এবং এলার্জিজনিত বিভিন্ন কারণে প্রতিনিয়ত ঠান্ডা জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হই। যাদের এই ধরনের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তারা প্রতিদিন এক টুকরো কাঁচা হলুদ খাওয়ার মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে পারবেন।

 

কাঁচা হলুদের উপকারিতা

কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই সন্ধিহান কাঁচা হলুদের সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়ার জন্য এটি দিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁচা হলুদ খেলে তোকে বয়সের ছাপ পড়ে না এবং বলি রেখার মতো সমস্যা তৈরি হয় না। যাদের খাবার হজমের অসুবিধা রয়েছে তারা প্রতিদিন এক টুকরো কাঁচা হলুদের রস চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারে। চলুন এক নজরে দেখে নেই কাঁচা হলুদের উপকারিতা গুলো কি কি?

 

ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগাতে সাহায্য করে

কাঁচা হলুদের বিদ্যমান অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হাড়ের টিস্যুর স্বাস্থ্য উন্নত করে। এবং খুব তাড়াতাড়ি ভাঙ্গা এবং মচকানো হাড়ের ব্যথা কমাতে কাঁচা হলুদ ব্যবহৃত হয়। কাঁচা হলুদ ব্রেন্ড করে মচকানো বা ভাঙ্গা হাড়ের উপর দিয়ে রাখলে খুব তাড়াতাড়ি হাড় জোড়া লাগতে সাহায্য করে।

 

হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে

আমরা পূর্বেই আলোচনা করেছি কাঁচা হলুদের বিদ্যমান কারকিউমিন উপাদানটি হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। মেনোপজের সময় হাড়ে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। এগুলো মোকাবেলায় কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

ট্রমাটিক ডিসঅর্ডারে কাঁচা হলুদের ব্যবহার

ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার এর কারণে আমাদের মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের খারাপ স্মৃতি জমা হয়ে থাকে। কাঁচা হলুদে বিদ্যমান কারকিউমিন উপাদান মস্তিষ্কের স্ট্রেস কমায়। ফলে ধীরে ধীরে ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 

ফুড ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে

আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এবং এই ভেজালের যুগে প্রায় প্রত্যেকটি খাবারেই ভেজাল মেশানো হয়ে থাকে। যার কারণে শরীরে ক্যান্সারের মতো মারণব্যাধি তৈরি হয়ে যায়। কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি,অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খাবারে থাকা সব ধরনের জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। 

 

এবং এসব খাবারের ফলে খাদ্যনালীতে যে ইনফেকশন তৈরি হয় সেই ইনফেকশন দূর করতেও কাঁচা হলুদ সাহায্য করে। জীবাণু মিশ্রিত খাদ্য খাওয়ায় শ্বাসনালীতে যে প্রদয়ের সৃষ্টি হয় সে প্রদাহ কমাতে কাঁচা হলুদ বিশেষ উপযোগী।

 

কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম

কাঁচা হলুদের টেস্ট অনেকেই পছন্দ করেন না। তাই তাদের ক্ষেত্রে চিবিয়ে খাওয়া একটু বেশি কষ্টকর হয়ে যায়। তারাও দিনে যতবার চা খান সেই চায়ের সঙ্গে এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া যারা কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে পারবেন তারা চেষ্টা করবেন অথবা রাতে ২৫০ মিলিগ্রাম করে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে। এবং এই কাঁচা হলুদ সাধারণত সকালে খালি পেটে খেতে হবে এবং খাওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যে কিছু না খাওয়া ভালো।

 

 এই পদ্ধতিতে নিয়মিত খেলে কাঁচা হলুদের বিদ্যমান সকল পুষ্টি উপাদান একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতা জরুরী। বেশি উপকার পাওয়ার জন্য কেউ যদি ২৫০ মিলিগ্রাম এর বেশি কাঁচা হলুদ খেয়ে থাকেন এটা স্বাস্থ্যের জন্য বরং ক্ষতি করে। তাই কাঁচা হল সেবনের ক্ষেত্রে কোয়ান্টিটি মেনটেইন করার চেষ্টা করুন।

 

কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম

রূপচর্চায় কাঁচা হলুদ এর ব্যবহার সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই অবগত। কিন্তু শুধুমাত্র হলুদ মুখে মাখা, প্রতিদিন ত্বকে হলুদ এপ্লাই করা, এলার্জি জনিত ত্বকে হলুদ মেখে রাখা, ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে হলুদ ত্বকে লাগিয়ে রাখা ইত্যাদি মোটেও উচিত নয়। এগুলো ত্বকের উপকার করার বদলে ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। চলুন জেনে নিই কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম

 

কাঁচা হলুদ এবং গোলাপজল 

এক চা চামচ হলুদের রসের সঙ্গে কয়েক ফোটা গোলাপজল একসঙ্গে মিশ্রিত করে ত্বকে লাগিয়ে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

 

কাঁচা হলুদ ও লেবু

এক টুকর কাঁচা হলুদের রস এবং সামান্য লেবুর রস একত্রে মুখে মেখে রাখলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। তবে এটি ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে মুখে রাখা যাবে না। এবং সপ্তাহে দুই দিনের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়।

 

কাঁচা হলুদ ও মধু

কাঁচা হলুদ ও মধুর তৈরি ফেস প্যাক ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং ব্রণের সমস্যা পুরোপুরি সারিয়ে তোলে।

আশা করি আপনারা কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 

 

ব্রণ দূর করতে কাঁচা হলুদ যেভাবে ব্যবহার করবেন

আপনারা ইতিমধ্যে কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ব্রণের সমস্যা এড়াতে কাঁচা হলুদ নিম্নলিখিত উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন। যেভাবে ব্যবহার করবেন-

 

  • কাঁচা হলুদের স্ক্রাব তৈরি করে মুখে মাসাজ করুন,
  • কাঁচা হলুদের সঙ্গে চন্দনগুড়া মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা কমে যায়,
  • কাঁচা হলুদ পেটে তার সঙ্গে কিছুটা গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখলে রোদে পোড়া দাগ এবং ব্রণ দূর হয়,
  • কাঁচা হলুদের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে এপ্লাই করলে বলিরেখা দূর হয়।

 

শেষ কথা | কাঁচা হলুদ এর উপকারিতা এবং অপকারিতা

কাঁচা হলুদের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। অনেক আগে থেকেই হাড়ভাঙ্গা সমস্যায় আমরা দেখেছি কাঁচা হলুদের সঙ্গে চুন মিশিয়ে ভাঙা জায়গায় লাগিয়ে রাখা হতো। এতে করে খুব তাড়াতাড়ি হাড় ভাঙ্গার সমস্যা এবং ব্যথা দুটোই কমে যেত।

 

 বর্তমানেও আয়ুর্বেদিক বিভিন্ন চিকিৎসায় কাঁচা হলুদ সমান তালে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা কাঁচা হলুদ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করবেন।

 

মেটা ডেসক্রিপশন: ঔষধি গুনসম্পন্ন কাঁচা হলুদ এর উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটোই রয়েছে। তবে নিয়ম মেনে পরিমিত পরিমাণে প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খেলে এর কোন অপকারিতা নেই। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পরিমাণ মত কাঁচা হলুদ নিয়মিত খান।

 

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী | কাঁচা হলুদ এর উপকারিতা এবং অপকারিতা

১)প্রতিদিন কতটুকু হলুদ খাওয়া উচিত?

উত্তর: ২৫০ মিলিগ্রাম এর বেশি খাওয়া উচিত নয়।

 

২)কাঁচা হলুদ খেলে কি কোন ক্ষতি হয়?

উত্তর: কাঁচা হলুদ পরিমানের তুলনায় বেশি খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই নিয়ম করে পরিমাণ মতো কাঁচা হলুদ খাওয়া উচিত।

 

মেটা ডেসক্রিপশন: ঔষধি গুনসম্পন্ন কাঁচা হলুদের উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটোই রয়েছে। তবে পরিমিত পরিমাণে প্রতিদিন হলুদ খেলে এর তেমন কোন অপকারিতা নেই। তাই নিয়ম মেনে প্রতিদিন খালি পেটে হলুদ সেবন করুন।

 

৩)প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গরম হলুদ পানি খেলে কি হয়?

উত্তর: এই ভ্রবনটি নিয়মিত খেলে ওজন কমতে  সাহায্য করে।

 

৪)হলুদ কি নিরাপদ?

উত্তর: হলুদ প্রায় সবার জন্যই নিরাপদ। কিন্তু যাদের রক্ত পাতলা তারা হলুদ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

 

Read More

কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কাঁচা পেঁপের উপকারিতা

Leave a Comment