কালো জিরার উপকারিতা | টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়

কালো জিরার উপকারিতা

Table of Contents

কালো জিরার উপকারিতা | টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়

কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম Nigella sativa। এই বীজে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যার কারনে কালোজিরাকে কালোহীরা বললে মোটেও মন্দ হবে না। কালোজিরায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যারা ফলে এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে  সক্ষম। কালোজিরা অ্যাজমা এবং  অ্যালার্জির মতো রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ওজন কমাতে, রক্তে শর্করার মাএা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যাদের ডায়বেটিস আছে  তারা প্রতিদিন খাবারের সাথে কালোজিরা খেতে পারেন। কালোজিরা শুধু স্বাস্থ্যর জন্য না  এটা ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। এটা প্রাচীনযুগ থেকে একটি ঔষধি উপাদান হিসেবে পরিচিত। এটি যদি একজন তার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করে তাহলে তার স্বাস্থ্য উন্নতি পাশাপাশি শরীরে শক্তিরও উন্নতি হবে। তাই কালো জিরার উপকারিতা অপরিসীম। 

 

কালো জিরা খাবার নিয়ম

কালো জিরা আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। কালোজিরা তেল বানিয়ে খেতে পারেন বা তরকারিতে মশলা হিসেবে বা সবজিতে বাগার দিয়ে বা কালোজিরা ভর্তা বানিয়েও খেতে পারেন। এছাড়াও যারা এমনিতে শুধু কালোজিরা কেতে চায় তারা হাত দিয়ে পিষে সাধারণভাবে কালোজিরা খেতে পারেন। গরম বা ঠান্ডা পানিতেও খেতে পারেন। সালাদে কালোজিরা মিশিয়েও খাওয়া যায়। এছাড়া আপনার চায়ের সাথে কালোজিরা দিয়ে কতক্ষণ গরম করে খেতে পারেন।  সর্দি নিরাময়ে কালো জিরার উপকারিতা ব্যাপক পাওয়া যায়। এটি এমন একটি বীজ যেটা সকল খাবারের সাথেই খাওয়া যায় কোনরকম বাধাছাড়া নেই। আয়ুর্বেদ বা কবিরাজ চিকিৎসাও দেখা যায় ঔষধ হিসবে কালোজিরা খেতে দেয়। এছাড়া কোন সমস্যায় কিভাবে কালোজিরা খেলে উপকার পাওয়া যায় তা নিচে জানিয়ে দেয়া হলো:

ডায়বেটিস 

ডায়বেটিস রয়েছে যাদের তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে বা শুধু এমনিতেও কালিজিরা খেতে পারেন। দেখবেন আপনার রক্তের শর্করা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।

পাইলস 

পাইলস এর যাদের সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন খাবারের বা তরকারি সবজিতে কালোজিরা তেল ব্যবহার করে খেতে পারেন। আপনার হজমে সাহায্য করবে এটি।

গর্ভবতী মায়েরা 

যার গর্ভবতী বা সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর মা কালোজিরা ভর্তা করে ভাতের সাথে খেতে পারেন বা সবজিতে মশলা হিসেবে ব্যবহার করে খেতে পারেন। এটিতে অনেক পুষ্টিগুন রয়েছে যা শিশু ও মায়ের জন্য বেশ উপকারীতা রয়েছে।

সর্দি,কাশি বা অ্যালার্জির সমস্যা

এছাড়া সর্দি,কাশি বা অ্যালার্জির সমস্যা যাদের রয়েছে তারা চায়ের সাথে সকাল- বিকাল এ মিশিয়ে খেতে পারেন। দেখবেন অনেকটা স্বস্তিবোধ করছেন।

 

সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়

মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ বলা হয় কালোজিরাকে। অনেক পুষ্টিগুনের জন্য কালোজিরা বিখ্যাত। কালোজিরা শরীরে নানা রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে কালিজিরা খেলে আপনার পেটে গ্যাস কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া  এটি হজম করার জন্য এক ধরনের এনজাইম উপাদান বৃদ্ধি করে যা আপনার হজম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে খেলে কালোজিরা আপনার ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে। কারণ এটাতে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যেটা আপনার শরীরে ক্ষতিকর পর্দাথ দূর করতে সাহায্য করে শরীর ও ত্বক কোমল রাখে। যাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ১ চা চামচ কালোজিরা খেলে তা সেই ব্যথার উপশম হিসেবে কাজ করবে। মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে প্রতিদিন সকালে কালিজিরা খাওয়া যায় বা সবজিতে বা তরকারি হিসেবে। আপনার শরীরে শক্তি লেভেল বাড়াতে ও  কালো জিরার উপকারিতা পেতে হলে প্রতিদিন অল্প পরিমানে এর  খেতে পারেন।

 

মধু ও কালো জিরার উপকারিতা

কালো জিরার উপকারিতা
কালো জিরার উপকারিতা

 

মধু ও কালোজিরা মিশ্রণ একটি শক্তিশালী মিশ্রণ। মধুতে অধিক পরিমাণে মিনারেল, প্রোটিন, অ্যামাইনো এসিড,খনিজ লবন,এনজাইম রয়েছে উচ্চ কোলেস্টেরল ও ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে:

রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

মধু ও কালোজিরা উভয়েরই রোগ -প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দেহে নানা রোগ যেমন: ডায়বেটিস, হাঁপানি, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটা শরীরে ইমুউনিটি বুস্ট করে যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ এবং অসুস্থতা থেকে নিরাময়ে সাহায্য করে।

শ্বাস-প্রশ্বাসে সুবিধা

মধু ও কালোজিরা রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যা হাঁপানি বা অ্যালর্জির মতো অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। যখন  এরকম সমস্যা দেখা দিবে তখন গরম পানি বা দুধের সাথে কালোজিরা,সরিষার দানা, মৌরি  দিতে হবে, গরম করার পর ১ চা চামচ মধু আর লেবু মিক্সিং করে খেতে হবে হালকা গরম থাকাকালীন। এটি তাড়াতাড়ি হাপানি বা শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে ও আরামদায়ক দেয়।

হজম বৃদ্ধি করে

মধু ও কালোজিরা হজম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বদহজম করে সেসব সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। গবেষনায় পাওয়া যায় সকালে খালি পেটে কালোজিরাও মধু খেলে আপনার পেটে গ্যাস কমিয়ে দেয় বা দূর করে। কুসুম  পানির সাথে কালোজিরার গুড়ো ও মধু মিশিয়ে খেলে দ্রুত ভালে ফল পাওয়া যায়।

মানসিক সমস্যা দূর করে

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, কালোজিরা ও মধু আপনার অতিরক্তি মানসিক চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করে। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। এতে থাইমোকুইনন নামক একটি রাসায়নিক উপাদান আছে অস্ত্রীর এনজাইমের সাথে সম্পর্ক করে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে একটি ভালো ঘুম উপহার দেয়। তাছাড়া পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

মধু ও কালোজিরা উভয়েই কার্ডিওভাসকুলার সুবিধা প্রদান করে, যা রক্তচাপ ও মাএা নিয়ন্ত্রণ করে। কালোজিরার তেল ত্বক সুস্থ ও কোমল রাখে। আপনার হৃদরোগে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। হৃদপিন্ডের স্পন্দন সচল রাখে। অল্প মশলার সাথে কালোজিরার তেল দিয়ে সবজি ও তরকারি খেতে পারেন। যা আপনার হার্টকে সাহায্য করবে।

ওজন কমায়

কালোজিরা ও খাটি  মধু হজম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শরীরে অতিরিক্ত মেদ দূর করে। যা ওজন কমাতে সহায়ক। কালোচিবা মুখে সারাক্ষণ এর  কয়েকটা দানা চিবোতে থাকলে ক্ষুধোর পরিমান কমে যায়। সহজে ক্ষুধা লাগে না। এর ফলে বিভিন্ন রকম অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা যাবে।  ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে।এছাড়া যারা ধুমপান পান করেন কালোজিরা তার বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে। 

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়

কালোজিরার গুড়া ও মধু মিশিয়ে ফ্যাস প্যাক বানানো যায়।  যা ত্বক উজ্জ্বল করে ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। প্রথমে মুলতানি বা চন্দন মাটি তার সাথে কালোজিরার গুড়ো, মধু, গ্রিন টি মিশিয়ে ফেইসপ্যাক তৈরি করে ত্বকে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। সপ্তাহে ১বার এই প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে। এটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি খেলেও ব্যাপক উপকার পাওয়া যায় ত্বকে।

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে

কালোজিরা ও মধু মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন যেকেন খাবার সালাদ,তরকারি,দইেয়র সাথে, ভর্তা করে কালোজিরা খেতে পারে। তাই খাবারে মায়েদের কালোজিরা খাওয়া উচিত। বাচ্চার পুষ্টি বাড়াতে কালো জিরার উপকারিতা রয়েছে।

 ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে 

মধু ও কালোজিরা শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মধু যেহেতু প্রাকৃতিক শর্করা তাই এটি শরীরে জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রতিদিন নিদিষ্ট পরিমান কালোজিরা ও মধু দুধের সাথে বা অন্য কিছুর সাথে খেতে পারেন। তবে এটা খেয়াল রাখতে হবে যাদের ডায়বেটিস এর মাএা অনেক তারা মধু বাদ দিয়ে কালোজিরা শুধু খেতে পারেন। 

 

টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়

কালোজিরায় প্রচুর পরিমানে প্রোটিন আছে, যা শরীরের টিস্যু তৈরি ও মেরামতে সাহায্য করে। এই বীজে ওমেগা -৩ ও ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় স্বাস্থ্য ও হার্ট সুস্থ রাখে।হজমের স্বাস্থ্য উন্নতিতে কালো জিরা উপকারিতা রয়েছে কারণ এটি খাবারে  ফাইবার বৃদ্ধি করে এবং রক্তের শর্করার মাএা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, সি এবং  কয়েকটি ভিটামন বি- থায়মিন, রিবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিন সহ বিভিন্ন ভিটামিন পাওয়া যায়।  

এতে খনিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং জিংক রয়েছে যা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কালোজিরায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন থাইমোকুইনন এছাড়া  থাইমল  নামক বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ রয়েছে শরিরে ক্ষতিকর কোষ দূর করে ও সম্ভাব্য ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকার সহ উপরের সুবিধাগুলো পেতে পারেন। অবশ্যই কালো জিরা উপকারিতা পেতে প্রতিদিন নিদিষ্ট পরিমানে খেতে হবে। 

 

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি

কালো জিরা চিবিয়ে বা ভেজে যেভাবে ইচ্ছা খাওয়া যায়।  যেহেতু কালোজিরার বীজ পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ  এবং এতে বায়োঅ্যাকটিভ রাসায়নিক রয়েছে,তাি এগুলো চিবিয়ে কেলে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। কালোজিরা চিবিয়ে খেলে নিম্নলিখিত উপকার পাওয়া যায়:

  1. কালোজিরা চিবিয়ে খেলে শরীরে হজমকারী এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যা হজমে সাহায্য করবে।
  2. বীজ চিবানো দাঁত এবং মাড়ি থেকে ময়লা এবং ক্ষতিকারক জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে।  এছাড়াও এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য দাঁতের স্বাস্থ্যর জন্য উপকার।
  3. কালোজিরা চিবালে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। বীজের সুগন্ধি আপনাকে আরও স্পষ্টভাবে শ্বাস নিতে সাহায্য করতে পারে।
  4. কালোজিরা চিবিয়ে খেলে আপনার ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। ফলে সহজে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

 

চিবিয়ে বা ভেজে যেভাবে খাওয়া হোক না কেন কালো জিরার উপকারিতা পাওয়া যাবে। অবশ্যই খাওয়ার আগে ভালো করে পরিষ্কার করে খেতে হবে।

 

কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয়

আমাদের পাচনতন্ত্র ঠিক না থাকলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই সেসময়ে ঔষধ না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়া উপকণের মাধ্যমে গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কালোজিরাকে সর্বরোগের মহাঔষধ বলা হয়। কালোজিরা আমাদের পাচনতন্ত্রকে অনেক মজবুত করে। এছাড়া এটি হজমের সমস্যা কমিয়ে আনে যার ফলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই কালোজিরার সাথে ধনে দানা ,মৌরি,জোয়ান দানা মিশিয়ে  পানিতে ১০-১২ মিনিট সেদ্ধ করতে হবে। এরপর দানাগুলোর পানি ছেকে সে পানি প্রতিদিন সকালে  হালকা গরম থাকা অবস্থায় খেতে পারেন কালো জিরার উপকারিতা পাওয়ার জন্য দেখবেন ম্যাজিকের মত আপনার গ্যাস উধাও হয়ে গেছে।

 

রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়

কালো জিরার উপকারিতা পেতে রাতে ঘুমানোর আগে ১চামচ এর দানা খেতে  পারেন। এটা আপনার স্বাস্থ্যর জন্য উপকারি প্রভাব ফেলবে । কালোজিরা  আপনার হজম নিয়ন্ত্রণে, ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অনেক চাপমুক্ত করে। এটি আপনার শরীর গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এছাড়া এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কালোজিরাতে ১০০ রোগের প্রতিষেধক তাকে প্রায়। তার মধ্য একটি প্রতিষেধক হচ্ছে কেরোটিন যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ব্যথানাশক হিসেবে ও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। কালোজিরার তেল সামান্য গরম করে নিয়ে যেখানে ব্যথা হয় সেখানে রাতে মালিশ করে ঘুমাতে পারেন। এছাড়াও এই তেল চুল পড়া কমায় ও চুলের গোড়া মজবুত করে। জ্বর,সর্দি,মাথাব্যথা কালোজিরা ও মধু  একসাথে কেতে পারেন। এটি প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন কালোজিরা বা কালোজিরা তেল খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ফলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। কালোজিরা অধিক ঝতুস্রাব নিয়ন্ত্রণ করে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে নিদিষ্ট পরিমান   খেতে পারেন কালো জিরার উপকারিতা পাওয়ার জন্য।

 

কালোজিরার ক্ষতিকর দিক

কালো জিরার উপকারিতা
কালো জিরার উপকারিতা

 

কালো জিরার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি অপকারিতাও। কালোজিরা কিছু মানুষের মধ্য অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। শ্বাসকষ্ট, ফোলাভাব এবং চুলকানি হলো অ্যালর্জিয়া প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ।  আপনি যদি এই লক্ষণগুলোর সম্মুখীন হোন তাহলে এটা খাওয়া বন্ধ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অত্যাধিক কালোজিরা খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে যার মধ্য বমি বমি ভাব বা ব্যথা হতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো।  এছাড়া দীর্ঘদিন কালোজিরা খেলে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে। কালোজিরার তেল ব্যবহারের ফলে অনেকের ত্বকে জ্বালা হতে পারে। এরকম হলে এটি তৎক্ষনাৎ ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে। 

 

শেষ কথা

কালোজিরায় বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকার দেয়। তাই দৈনন্দিন খাবারের সাথে কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন উপাদান হিসেবে। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুন পাওয়া যায়। যেমনঃ ফাইবার, মিনারেল,প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি। এটি ডায়বেটিস সহ শরীরে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কালোজিরা মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি করতে পারে। এছাড়া কালো জিরার উপকারিতা অসংখ্য রয়েছে যা বলেও শেষ করা যাবেনা।

 

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন?

১. প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত? 

উওরঃ নির্ভর করে আপনার ওপর। আপনার শরীর কতটুকু নিতে পারবে। তবে মিনিমাম ২-৩ চা চামচ বা কয়েকটা বীজ নিয়ে খেতে পারেন। 

২. কালো,জিরায় কি ওজন বাড়ে?

উওরঃ না,কালোজিরা বরং ওজন কমায়। এটি খাওয়ার আপনার ক্ষুধা কমায়, যার ফলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে।

৩. কালোজিরা তেল ত্বকে কিভাবে ব্যবহার করবেন?

উওরঃ প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কালোজিরা তেল কয়েক ফোটা হাতে নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে সারারাত রেখে দিতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। অবশ্য যদের ত্বক শুষ্ক থাকে তাদের ব্যবহারের জন্য এটি উপযোগী।

৪. মধু কালোজিরা রসুন খেলে কি হয়?

উওরঃ এই তিনটির সংমিশ্রণ করে খেলে আপনার সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা দূর হয় এবং আপনার পেটে গ্যাস থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও এগুলো গলা ব্যথা কমায় ও আরামদায়ক স্বস্তি দেয়।

 

Read More: 

  1. পেয়ারার উপকারিতা 
  2. কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা
  3. আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

 

Related Posts
এলার্জির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম | এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়
এলার্জির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

এলার্জি রোগের ইংরেজি নাম হল হাইপারসেনসিটিভিটি। এলার্জি রোগীদের অতি সংবেদনশীলতার রোগী হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। যে ব্যক্তি যে ধরনের এলার্জি Read more

রক্তে এলার্জির লক্ষণ
রক্তে এলার্জির লক্ষণ

রক্তে এলার্জি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। আজকাল অনেক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। আবার অনেকের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার Read more

ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়

নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের মুখে ব্রণ একটি কমন সমস্যা। পুরুষরা বেশিরভাগ সময়ে ঘরের বাইরে অবস্থান করেন। বাইরে ধুলাবালি মুখে ব্রণ তৈরি Read more

বদহজম দূর করার উপায়
বদহজম দূর করার উপায়

বদহজম খুবই স্বাভাবিক এবং প্রচলিত একটি সমস্যা। বদহজমের সমস্যা হয় না এমন মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। কমবেশি সবাই এই Read more

কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা রসুনে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন ভিটামিন থেকে শুরু করে বায়োএকটিভ যৌগ যা মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য Read more

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা লবঙ্গের বৈজ্ঞানিক নাম হল সিজিজিওমোরোমেটাম। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এটি বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ গাছে Read more

Leave a Comment